এপ্রিল ৪, ২০২৩
চার নাম্বার ইট ও খোয়া দিয়ে কাজ হবে শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী
জি এম মাছুম বিল্লাহ শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় চলমান প্রকল্প সরজমিনে দেখে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের ভাষ্যমতে, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের যোগসাজশে অর্থিক লেনদেনের ফলে কাজের এমন দূর্গতি বলে ধারণা করছেন তারা। সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের তথ্য মতে, শ্যামনগর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এলজিইডির ১৯টি প্রকল্পের ৩২ টি রাস্তার কাজ চলমান আছে। চলমান কার্যক্রমগুলো সরজমিনে পরিদর্শন করতে গেলেই বাধে বিপত্তি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাম্বার বিহীন নিম্নমানের ইট দিয়ে খোয়া তৈরি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় ইট ভাটার রাবিশ (ইটের গুড়া) দিয়ে কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে চলছে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে জনপ্রতিনিধি সবাই আঙ্গুল তুলেছেন শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের দিকে। তাদের দাবি মোট টাকার বিনিময়ে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর মধ্যে দফারফা হয়েছে। যার কারণে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে এমন তথ্য একাধিকবার প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে জানানোর পরও কোন তোয়াক্কা করেন নি। বিপরীত দিকে থাকা ঠিকাদার তবিয়তে তার কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এসমস্ত ক্ষেত্রে ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ নিম্নমানের ‘খ’ ও ইট এর ব্যবহার,বেড কেটে রুলিং না করেই বালু ভরাট,খ’ ও বালু আলাদা মিশ্রন না দিয়ে একসাথে মিশ্রন করে বালুর পরিমান বেশি দেওয়া, ভাঙ্গনের উপর নির্ভর করে প্লা-সাইটিং না দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের সুযোগ নিয়ে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হচ্ছে। যার ফলে নতুন রাস্তা বছর না ঘুরতেই নষ্ট হয়ে যায়। তার প্রমাণ উপজেলা হরিনগর থেকে ভেটখালী, নূরনগর থেকে পরানপুর, গোডাউন মোড় থেকে নূরনগরসহ কয়েকটি নতুন রাস্তা এখন বেহাল দ্বশা দেখা দিয়েছে।
এলজিইডির কাজে মান নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম কয়েকজন ঠিকাদারের কাছে তারা নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তারা জানিয়েছেন,ইটের মূল্যবৃদ্ধির ফলে তারা ভালো মানের ইট দিয়ে কাজ করতে পারছে না। তার জন্য প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে এই কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। 8,570,948 total views, 9,653 views today |
|
|
|