জানুয়ারি ২২, ২০২৩
কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি ক্রয়ে দূর্নীতি
মোশাররফ হোসেন : কলারোয়ায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীনদের জমি ক্রয়ে গুরুতর অনিয়ম ও দূর্নীতির হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের এক পরিপত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (স্মারক নং ০৩,০২,০০০০,৭০১,০২,৪৯৮,২২-৬০৮) এক পত্রে জমি ক্রয় ও অর্থ প্রদানের জারি করা করা হয়।
চলতি ২০২৩ সালে কার্যকর গণপতিপুরে জমির মৌজা রেট ডাঙ্গা/বাগান/পুকুরের জমির শতক প্রতি ৩৮ হাজার এবং ধানী/বিলান/পতিত জমি ১৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গণপতিপুর গ্রামের নুর আলী বিশ^াসের ছেলে মাজেদ জানান, গনপতিপুর মৌজায় তার নিকট থেকে (বিবাদমান জমি) ৫৫ হাজার টাকা শতক দরে ৩২ শতক উর্বর তিন ফসলি জমি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন উপজেলা জমি সংস্থান কমিটির সদস্যরা।
উপজেলার জয়নগরের মৌজা রেট ডাঙ্গা/বাগান/পুকুরের জমির প্রতি শতাংশ (সরকার নির্ধারিত মূল্য) সাড়ে ২২ হাজার এবং ধানী/বিলান/পতিত জমি সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। সরকারী অর্থ লোপাটের লক্ষ্যে কম দামে জমি ক্রয় করে বেশী দাম দেখিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। মৌজা রেটের দ্বিগুণের বেশী ৫৫ হাজার টাকা শতক দরে জয়নগর গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের ছেলে আব্দুল লতিফ গং এর নিকট থেকে ৪৫.৬০ শতক জমি ২৫ লাখ ৮ হাজার টাকায় দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
উপজেলার বাকসা বাগাডাঙ্গার একই শ্রেণীর জমির মৌজা রেট যথাক্রমে সাড়ে ২৬ হাজার এবং সাড়ে ১৬ হাজার টাকা। এই মৌজায় দ্বিগুণের বেশী দামে ৬০ হাজার টাকা শতক দরে বোয়ালিয়া গ্রামের বাবর আলী সরদারের ছেলে ইউনূছের কাছ থেকে ৩৩ শতক উর্বর তিন ফসলি জমি ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় দেখিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। রেজিষ্ট্রি খরচ বাবদ ইউএনও অফিসের জনৈক কেরানী (তিনি ওই কেরানীর নাম বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন) তার নিকট থেকে জমি সংস্থান কমিটির এক সদস্যের নাম করে
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, এসব জমি ক্রয়ের পূর্বে উপজেলা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশ বোর্ডে সপ্তাহ কাল প্রচারের বিধান থাকলেও উপজেলা জমি সংস্থান কমিটি তাদের কোন নির্দেশনা না দেয়ায় প্রচার করা হয়নি। এক্ষেত্রে জমি সংস্থান বিধান লংঘন করা হয়েছে।
জমি ক্রয় কমিটির অপর সদস্য কলারোয়া উপজেলা সাব রেজিষ্টার মঞ্জুরুল হাসান বলেন, বিষয়টি তার স্মরণে নেই। তবে রেজিষ্ট্রির সময় মাজেদের নামে খতিয়ান ও দাখিলা উপস্থাপন করা হয়েছিল বলেই জমিটি রেজিষ্ট্রি করা হয়। পরে লোকমুখে শুনেছি জমিটি বিবাদমান। 8,571,036 total views, 9,741 views today |
|
|
|