সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৮ কর্মচারিসহ ১১ জনের সাত বছর করে সশ্রম কারাদন্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি খাস জমি জালিয়াতির মাধ্যমে নামপত্তনের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৮ কর্মচারিসহ ১১ জনের প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদÐ ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদÐাদেশ প্রদান করা হয়েছে। রবিবার খুলনা বিভাগীয় স্পশাল জজ ড. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় প্রদান করেন। এ সময় কাঠগোড়ায় ১০ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন। স্পেশাল ২৮/১৭ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি শাখার উচ্চমান সহকারি ও রেকর্ডকিপার পুতুল রানী বৈরাগী, রেকর্ড রুমের অফিস সহকারি শ্যামল কুমার আচার্য, একই শাখার সার্টিফিকেট অফিসার মোঃ সামছুজ্জামান, মুদ্রাক্ষরিক বেগম জেনমনি নাহার, অফিস সহকারি আফছারউদ্দিন, শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদার(পলাতক), ওয়াজেদ সরদার ও মোহাম্মদ আলী সরদার।
খুলনা দুদকের পিপি অ্যাড. লুৎফুল কবীর নওরোজ জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরায় সরকারি খাস জমি জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যক্তি মালিকানায় নামপত্তনের অভিযোগে ২০১৭ সালে দুটি মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে দÐবিধি ১০৯,৪০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্র্ণীতি দমন আইনের এদিকে একই দিন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি খাস জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি মালিকানায় নিতে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নামপত্তন করাতে সহযোগতা করায় অভিযোগে দায়েরকৃত স্পেশাল ১১/১৭ নং মামলায় আসামী শামিমা আক্তার, শ্যামল কুমার আচার্য, জেসমিন নাহার, সেলিনা সুলতানা, আফছারউদ্দিন ও মোঃ হোসেন আলীর প্রত্যেককে সাত বছর করে সশ্রম কারাদÐ , ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। এ দুটি মামলার বিচারাধীন আসামী মাহাবুবর রহমান ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। একজন মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতে স্থগিত করেছেন। শেষ পর্যন্ত ১১ জনের কারাদÐ হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আট জনের মধ্যে ছয় জনের সাত বছর করে পৃথক সাজা ও পৃথক জরিমানা একইসাথে চলবে। 8,765,912 total views, 6,472 views today |
|
|
|