নভেম্বর ২০, ২০২১
কলারোয়ার জালালাবাদে ভিন্ন পদ্ধতিতে শীতকালীন সবজি চাষ
রেজওয়ান উল্লাহ,জালালাবাদ (কলারোয়া): ফুল ফলের শোভায় ভরে উঠছে ঘেরের পাড়। প্রকৃতিও বেশ অনুক‚লে। শীতের শুরু না হতেই অভিনব কায়দায় চাষ করা খেত থেকে লাও,শিম,পালন তুলে বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। ভালো দাম পেয়ে চাষিদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসির আভা। কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মাছ চাষীরা ঘেরের পাড়ে আগাম শাকসবজি চাষ করে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা। শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম,লাও,পালন,বেগুন,ঢেড়স,পাতাকপি,ফুলকপি।
প্রতিবছরই উপজেলার উঁচু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলেও এখন নিচু এলাকার মৎস্য ঘেরের পাড়ে হচ্ছে আগাম শিম ও লাও,বেগুন ইত্যাদি। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিনগত শীতের সবজি আবাদে ঝুঁকছেন নিম্ন এলাকার মৎস্য চাষিরা মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড় ফেলে না রেখে বিভিন্ন শাক সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে।
শংকরপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম এ বছর ৫ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাছ চাষের পাশাপাশি শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন। কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন,ঘেরের পাড়ে বান দিয়ে গরমের সময় ক্ষীরায় চাষ করেছেন।ক্ষীরায় চাষের পরই ক্ষীরায় বানে লাউ,কুমড়া চাষ করেছেন সাথে পাড়ের দুই পাশে লাগিয়েছেন টমেটো গাছ।বেশ কিছু লাউ বিক্রি করেছি।কুমড়ার জালিও ভাল ধরেছে।বুইতা এলাকার কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, এবার ১০ বিঘা মৎস্য ঘেরের পাড়ে শিম ও লাও আবাদ করেছেন তিনি। গত বছর এ সময় অতিবৃষ্টিতে শিমখেত নষ্ট হয়েছে। সাথে সাথে লাও চাষ করা হয়েছে তবে অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দামও কমে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও ভালো লাভ হবে। এদিকে চারঘাট সদর বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে খুচরা ১০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১০-১৩০ টাকা কেজি। লাও বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা।গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা। কলারোয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, শীতকালীন সবজি চাষে উচু জমির পাশাপাশি নিচু এলাকায় মৎস্য ঘেরে মাছ চাষের পাশাপাশি ঘেরের পাড়ে শীতকালীন সবজিও চাষ হচ্ছে। এ বছর প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভালো উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। 8,598,650 total views, 6,529 views today |
|
|
|