আগস্ট ৩, ২০২১
পাটকেলঘাটায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে জাহাঙ্গীরের সাফল্য
নাজমুল হক, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটায় গ্রীষ্মকালীন রংবেরঙের তরমুজ চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেতে যাচ্ছে কৃষকরা। পাটকেলঘাটায় ২ বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে মাত্র ৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ শুরু করেন নগরঘাটা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম । তিনি মাত্র ৬ হাজার টাকা চাষাবাদ বাবদ খরচ করে প্রায় ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেন। তার এ অভাবনীয় সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরা এবছর তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। পাটকেলঘাটার মিঠাবাড়ী, নগরঘাটা, আলীপুর ও সেনেরগাতী এলাকায় প্রায় ৬ বিঘা জমিতে এ তরমুজ চাষ হয়েছে। এবছর জেলায় সর্বপ্রথম পাটকেলঘাটা থানার ২ টি ইউনিয়নে ‘মধুমালা’ নামক তরমুজ যার বাইরে হলুদ ও ভিতরে লাল রঙের, ‘ইয়োলোবার্ড’ তরমুজ যার বাইরে সবুজ ও ভিতরে হলুদ রঙের, ‘বøাকবেবি’ তরমুজ যার বাইরে কালো ভিতরে লাল রঙের বৈশিষ্ট্যের ৩ টি জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। পাটকেলঘাটা থানার সেনেরগাতী গ্রামের তরমুজ চাষী মোঃ আবুল কালাম বলেন, আমি এ বছর পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় এবং পাটকেলঘাটার বেসরকারী সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি ইউনিটের আওতায় প্রায় ১ বিঘা জমিতে বøাক বেবি ও মধুমালা জাতের তরমুজের চাষ করেছি। এ চাষ করতে যেয়ে সর্বসাকুল্যে আমার খরচ হয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ১২৫০ পিচ তরমুজের ফলন হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। তিনি অভাবনীয় সাফল্যে পেতে যাচ্ছেন বিধায় আগামীতে বেশী পরিমাণ জমিতে তরমুজ চাষ করবে বলে তিনি জানান। নগরঘাটা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ১৮ শতক জমিতে ইয়োলোবার্ড, বøাকবেবি, মধুমালা ৩টি জাতেরই তরমুজের চাষ করেছেন। তিনি এ চাষ করতে যেয়ে ২৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এবার ফলন দেখে তিনি মনে করেন, প্রায় ৭০ হাজার টাকা তরমুজ বিক্রি হবে। এছাড়া মিঠাবাড়ী গ্রামের কৃষক মুকুল হোসেন, নগরঘাটা গ্রামের আছাদুর রহমান, মাসুদ হোসেন, আব্দুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম, ও আলীপুর গ্রামের রেজাউল মোল্যা এ চাষে ঝুঁকেছেন।এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি ইউনিটের কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, গত ২ বছর সাতক্ষীরা জেলায় সর্বপ্রথম বøাকবেবী জাতের তরমুজের চাষ শুরু হয়। এবছর নতুন আরো ২ টি জাত সহ ৩ জাতের তরমুজের চাষ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, তরমুজ চাষ বিষয়ে আমরা কৃষকদের হাতে কলমে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বীজ ও অন্যান্য উপকরণ এবং প্রযুক্তিগত পরামর্শ প্রদান করি। এ জাতের তরমুজের চারা লাগানোর মাত্র ৫০-৬০ দিনে ফসল উৎপাদিত হওয়ায় এলাকার কৃষকরা এবছর অধিক হারে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ঝুঁকেছে। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন এ ব্যাপারে বলেন, উপজেলার নগরঘাটা ও ধানদিয়া ইউনিয়নে প্রায় ২ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পাশাপাশি পাটকেলঘাটার বেসরকারী সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার কৃষি ইউনিট কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। 8,570,258 total views, 8,963 views today |
|
|
|