এপ্রিল ৩০, ২০২০
করোনা যুদ্ধে প্রাণ গেল আরও দুই পুলিশ সদস্যের
ন্যাশনাল ডেস্ক : মহামারি করোনা ভাইরাস যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের আরও দুই জন সদস্য। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাঁরা মারা যান। করোনা যোদ্ধা ওই পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজন ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত এএসআই আব্দুল খালেক (৩৬)। আরেকজন ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২)। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তাদের মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিএমপির পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টের (পিওএম) যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল মালেক বলেন, প্রাথমিকভাবে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর এএসআই আব্দুল খালেককে আরামবাগে একটি হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নেয়া হয়। বুধবার তার করোনার পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হয়। রিপোর্টে তার করোনায় পজিটিভ আসে। এদিন বিকেল থেকে আব্দুল খালেকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন কোয়ারেন্টাইনে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে হাসপাতালে নেবার পর রাত সোয়া ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল খালেক বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামের আজিম উদ্দিন মৃধার ছেলে। সহকর্মীরা জানিয়েছেন, শান্ত, বিনয়ী, দায়িত্বপরায়ন ও কর্তব্য পালনে নিরলস, নিরহংকার, সদা হাস্যোজ্জল স্বভাবের ছিলেন এএসআই আব্দুল খালেক। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। অন্যদিকে ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরের সহকারী কমিশনার (এডমিন) বদরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাফিক উত্তরের এয়ারপোর্ট এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মারা যান। তিনি বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর তাকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুলিশ তত্ত্বাবধানের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টারে রাখা হয়। গত ২৬ এপ্রিল করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে। বুধবার তার অবস্থার অবনতি হলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। তার বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায়। 8,569,506 total views, 8,211 views today |
|
|
|