আগস্ট ৭, ২০১৮
মণিরামপুরে ‘জমি আছে বাড়ি নাই’ প্রকল্পের ঘর পেয়ে বেজায় খুশি জাহানারা-নুরজাহানরা
মো. আব্বাস উদ্দীন, মণিরামপুর (যশোর): জাহানারা খাতুন (৪৫) শারীরিক প্রতিবন্ধী। তিনি মণিরামপুর উপজেলার জোঁকা গ্রামের বাসিন্দা। বিশ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল মণিরামপুরের দীঘিরপাড় গ্রামের আব্দুর রশিদের সঙ্গে। হাঁটাচলা করতে না পারায় স্বামীর ঘরে থাকা হয়নি তার। বিয়ের এক বছরের মাথায় তার সংসার ভেঙে যায়। বাবা সেকেন্দার আলী তাকে বসতভিটায় ঠাঁই দেয়। টিনের ছাবড়ার একটি ঝুপড়িতে আশ্রয় নিয়ে পরের দয়ায় দিন চলে তার। সম্প্রতি তিনি সরকারের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর পেয়েছেন। সঙ্গে একটি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানাও রয়েছে। ঘর পেয়ে বেজায় খুশি জাহানারা। একই প্রকল্পের আওতায় ঘর পেয়েছেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালঝাড়া গ্রামের দুই পা হারানো বৃদ্ধ আবুল কাশেম (৬৫)। এক সময় কায়িক পরিশ্রমে ভালোভাবেই চলতো কাশেমের সংসার। কিন্তু যুবক বয়সে অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দু’টি পা হারাতে হয়। তবু হাত পাতেননি কারো কাছে। দীর্ঘ ৪০ বছর কলা বেচে সংসার চলেছে কাশেমের। এখন আর তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। স্ত্রী আছিরোন্নেছা কাজ করেন অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে। আর একমাত্র ছেলে মতিয়ারের স্বল্প আয়ে চলে কাশেমের পরিবারের সাত সদস্যের সংসার। অভাবের সংসারে সরকারি ঘর পেয়ে তাই কাশেমও মহা খুশি। শুধু জাহানারা আর কাশেম নন, ঘর পেয়ে আনন্দিত উপজেলার ষোলখাদা গ্রামের নূরজাহান, ফতেয়াবাদ গ্রামের নবীজান, হাজরাকাঠি গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা প্রতিবন্ধী হালিমা ও দিনমজুর লুৎফরসহ উপজেলার দুস্থ অসহায় তিনশ পরিবার। 8,601,716 total views, 9,595 views today |
|
|
|