জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
আশাশুনির নৃশংস হত্যার শিকার অনিমেষ সরকারের পরিবারের পাশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ
![]() নিজস্ব প্রতিবেদক : আশাশুনির নৃশংস হত্যার শিকার অনিমেষ সরকারের পরিবারের পাশে দাড়ালেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নের লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামের হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মনিন্দ্র কুমার নাথ তার পরিবারের সাথে স্বাক্ষাত করেন। গতকাল বিকালে উপজেলা শ্রীউলা ইউনিয়নের নৃশংস হত্যার শিকার অনিমেষ সরকারের পিতা, নিরঞ্জন সরকার, মাতা শেফালী রাণী, স্ত্রী ও পরিবারের সাথে দেখা করতে তার বাসভবন যান। তিনি বলেন, হত্যার সাথে যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি কামনা করেন। তিনি বলেন যারা অপরাধ করে তাদের কোন ধর্ম নেই, দল নেই। তাদের একটাই পরিচয় তারা অপরাধী। আমরা সকলে হিন্দু মুসলিম এই দেশের মাটির, বায়ুর সাথে আমাদের বেড়ে উঠা এদেশ আমাদের সকলের। অনিমেষ হত্যায় দু:খ প্রকাশ করে শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। হত্যার শিকার অনিমেষ পিতা নিরঞ্জন সরকার হাতে আর্থিক সহযোহিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে শোকাহত পরিবারের পাশে থাকার কথা জানান সাথে সাথে আইনী সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির গণসংযোগ সম্পাদক, ব্রজগোপাল দেবনাথ, সাতক্ষীরা জেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ সাহা, আশাশুনি উপজেলা ঐক্য পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক গোপাল কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা জেলা যুব ঐক্য পরিষদের আহবায়ক অমিত কুমার ঘোষ, ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুজন বিশ্বাস, আশাশুনি উপজেলা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক তুলসী চন্দ্র পাল, সদস্য সচিব মৃন্ময় মল্লিক, যুব ঐক্যের সভাপতি কমলেশ সরকার, ঐক্য পরিষদ নেতা পঙ্কজ মন্ডল, অলোক মন্ডল, লালন সরকার, সঞ্জয় মিশ্র, দেবেন্দ্রনাথ পাল, অনুপম শ্যামল বিশ্বাস প্রমুখ। প্রসঙ্গত: আশাশুনি উপজেলার লাঙ্গলদাড়িয়া গ্রামে সাইকেল মেকানিক অনিমেষ হত্যা ঘটনায় অহিদ মল্লিক ও মালেক মল্লিককে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা শেফালী রানী সরকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮, তাং ২৫/০১/২৫। মামলা সূত্রে ও বাদী জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অনিমেষ সাইকেল মেরামতের কাজ করতো। জমিজমার বিরোধে ২১ জানুয়ারী সকাল ১০.৩০ টার দিকে প্রতিবেশী অহিদ মল্লিক ও মালেক মল্লিক বাদীর পুত্র অনিমেষকে মাপ চাইতে বাধ্য করে ও মারধর করে। মারপিটের বিচার চাইলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এবং ইমদাদুল মোল্যার সবজি ক্ষেতে নিম গাছে কৌশলে গলায় রশি দিয়ে পেচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক মালেক মল্লিক, আঃ খালেক মোল্যার ছেলে বাবলু আক্তার মোল্যা গ্রেফতার করে। এঘটনায় হত্যার কথা স্বীকার করে বাবলু আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারা তার জবান বন্দীতে হত্যার ঘটনা বিজ্ঞ আদালতে শিকার উক্তি দেন। হত্যার ঘটনায় আব্দুল মালেক ও বাবলু জেল হাজতে রয়েছে । অপর আসামীরা এখন পালাতক রয়েছে। 9,124,175 total views, 78 views today |
|
|
|