ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার মান উন্নত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ একটি চক্রের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান ও অন্যান্য শিক্ষকদের দাবি ইতিমধ্যে জেলার এই শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠটি নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচারে মেতেছেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল। শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান বিগত ৭ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। সেই থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানসহ শিক্ষার পরিবেশের বিস্তর পরিবর্তন এনেছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক পুনরায় স্ব-পদে বহাল হওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করছেন বলে অভিভাবকবৃন্দ অভিযোগ তুলেছেন। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সাবেক প্রধান শিক্ষক এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রী পরিষদ সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক মন্ডলী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এস, এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বিগত ০৭/০৭/২০১২খ্রিঃ অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করে সুদীর্ঘ ১৩বছর অত্র বিদ্যালয়ে একটানা কর্মরত ছিলেন। তিনি একজন দুর্নীতি পরায়ন, অকর্মণ্য, স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্টা করা, চার স্ত্রী রাখা সহ নারী লিপ্সু হওয়ার কারণে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করার আগে কোন স্কুলে ১-২ বছরের বেশী চাকুরি করতে পারেননি। কিন্তু পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তার নিকট আত্মীয় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির আমলে অত্যন্ত প্রতাপশালী হয়ে ওঠেন এবং সুদীর্ঘ তের বছর একনাগাড়ে শোষণ করার ফলে এক সময়ের গৌরব উজ্জ্বল এই প্রতিষ্ঠানটি চরমভাবে ধবংসপ্রাপ্ত হয়েছে’। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তিনি আওয়ামী এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ছত্রছায়ায় এত দোদন্ড প্রতাপশালী ছিলেন যে একনাগাড়ে একসাথে চারটি পদে যেমন- তিনি সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, দেবহাটা উপজেলার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩নং কক্ষ দখল করে সপরিবারে ১৩বছর বসবাস করেছেন কিন্তু কোন ভাড়া দেননি বা সরকারের কোন অনুমতি নেননি তিনি গত ৭ জুলাই ২০২৪ তারিখ অত্র বিদ্যালয়ের কক্ষগুলো ছেড়েছেন। বিগত ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে সাতক্ষীরা সদর আসনে জাতীয় পাটি থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় পূর্বতন আওয়ামী এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবির নিয়ন্ত্রন কিছু শিখিল হওয়ায় তিনি সম্পূর্ণ দুর্নীতি, অনিয়ম ও নারীলিপ্সার কারণে গত জুন মাসে অত্র বিদ্যালয় থেকে বদলী হন। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি ভোল পাল্টে বিএনপি-জামাত সেজে পুনরায় সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী হওয়ার মতলবে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তার বর্তমান কর্মস্থল বাগেরহাটে অবস্থান না করে পরিবারসহ সাতক্ষীরায় অবস্থান করেন এবং সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচার চালান কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ এখনও তদন্ত হয়নি। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানানো হয় ওই অভিযোগে’। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এস, এম আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। 8,877,222 total views, 5,170 views today |
|
|
|