ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
লাবণ্যবর্তী খালের মাটি কাটা বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার
কুলিয়া (দেবহাটা) প্রতিনিধি:: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের নিকারীপাড়া ঘোলকান্দা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের মধ্যবত্তী ইছামতী নদীর শাখা লাবণ্যবর্তী খালের ধারে সরকারি মাটি কাটা বন্ধ করল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার শোয়াইব আহমাদ। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুলিয়া ইউনিয়নের ঘোলকান্দা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুরের মধ্যবত্তী ইছামতী নদীর শাখা লাবণ্যবর্তী খাল ২বছর আগে খনন হয়। খনন করার সময় দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের জামাত নেতা মাসুম চৌধুরীসহ তার ওয়ারেশগনদের মালিকানা জমিতে উক্ত সরকারি মাটি কেটে রাখা হয়। কিছু দিন আগে মাসুম চৌধুরী, লাপ্পা, চাকমা, মকফুর, কুলিয়ার সাবেক জামাতের আমির আনারুল ইসলামদের নেতৃত্বে মাটি কেটে ড্রাম ট্র্যাক’র মাধ্যমে বিভিন্ন ভাটায় বিক্রি করতে থাকে। বিষয়টি অবগত হয়ে এলাকাবাসী সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহাদয়কে জানায়। তার প্রেক্ষিতে ইউএনও মহাদয় গত শুক্রবার ভোমরা ইউনিয়নের নায়েবকে সরজমিনে পাঠায়। তিনি সেখানে গিয়ে মৌখিক ভাবে সরকারি মাটি কাটা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু তারা কারো কোন তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামত সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি করতে থাকে। এক পর্য্যায়ে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১ ঘটিকায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরজমিনে হাজির হন এবং মাটি কাটা বন্ধ করেন। এসময় মাসুম চৌধুরী বলেন, আমাদের মালিকানা জমিতে ২ বছর ধরে এই মাটি আছে। আমাদের চাষাবাদ জমি, এই মাটির জন্য চাষ করতে পারতেছি না। ইতিপূর্বে বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানাইছিলাম কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। রাজনৈতিক কারনে আমরা হয়রানির স্বীকার হয়েছি বিষয়টি কেউ আমলে নেয়নি। আমাদের মালিকানা জমিতে মাটি আছে বিধায় আমরা মাটি সরিয়ে নিচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ বলেন, সরকারি খালের মাটি ইচ্ছামত কেউ নিতে পারবে না। আমি গত শুক্রবার নায়েব সাহেব কে পাঠাছি কিন্তু আপনারা মাটি কাটা বন্ধ করেন নি। আপনারা বেআইনী ভাবে মাটি কাটতেছেন। খালের পানি যদি উপরে উঠে আপনারা কি থামাতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা কোন আবেদন করেননি। আপনাদের জমি থেকে মাটি সরান কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী। আপনারা যদি পরবর্তীতে মাটি কাটা শুরু করেন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 8,877,184 total views, 5,132 views today |
|
|
|