নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের মোবাইল, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে। এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। ফলে জেলার বৃহৎ এ সরকারি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র থেকে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। এতে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ জেলার সাধারণ অনেক মানুষ। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী এবং রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসাধীন আছেন দেবহাটা উপজেলার কাটাখালি বদরতলা এলাকার আব্দুল হান্নান। তিনি জানান, গত শনিবার দুপুরের দিকে তিনি তার অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন দিয়ে বাড়িতে কথা বলে ফোনটি রেখে দিয়ে ওয়াশরুমে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন তার বেডে রাখা মোবাইল ফোনটি নেই।
ওই ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসাধীন আরেক রোগীর স্বজন আশাশুনির তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের সাইমুন নাহার জানান, আমার চাচা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স ওয়ার্ডের বারান্দায় ৫নং বেডে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে আমি বাথরুমে আমার চাচার কাপড় পরিষ্কার করতে গিয়েছিলাম। এসময় আমার চাচার বেডের পাশে আমার মোবাইল ফোনসহ আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। কিন্তু আমি এসে দেখি আমার স্যামসাং জে-৭ মডেলের মোবাইল ফোন এবং আমার ব্যাগের ভিতরে রাখা ৪ হাজার টাকা নেই।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডে খোঁজ খবর নিয়ে এই ধরনের কয়েকটি ঘটনার কথা জানা গেছে। তবে কে বার কারা এমন চুরির কান্ড ঘটাচ্ছেন সে বিষয়ে কেউ জানেন না। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভিতরে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা আরো গেছে, ‘হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরে ক্যামেরা স্থাপন করার কারণে সেখানকার চুরি কিছুটা রোধ করা গেলেও ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়া রোগী ও তাদের স্বজনরা বেশি চুরির আতঙ্কে থাকছেন’। তারা দাবি জানান, ‘সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব চুরির ঘটনা আমলে নিয়ে প্রত্যেক ওয়ার্ডের বারান্দায়ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলে এই ধরনের চুরি রোধ করা সম্ভব হবে’।
এ বিষয় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ কুদরত-ই-খুদা’র জানান, ‘এ ঘটনায় আগামীকাল ব্যবস্থা নেওয়া হবে ইনশাল্লাহ’।
