নাজমুল হক, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটায় জামায়াত ইসলামী তালা উপজেলা শাখার আয়োজনে ২৮ অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, আলোক চিত্র প্রদর্শনী ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় পাটকেলঘাটা আদর্শ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী তালা উপজেলা শাখার আয়োজনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তালা উপজেলা জামায়েতের আমীর মাওলানা মফিদুল্লার সভাপতিত্বে ও তালা উপজেলা জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি অধ্যাপক গাজী সুজায়েত আলী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক তালা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডাক্তার মাহমুদুল হক, তালা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ডাক্তার আফতাব উদ্দিন, জামায়তের সেক্রেটারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ইসলামকাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক, মাগুরা ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আইয়ুব আলী, সরুলিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হাফেজ শাহ্ আলম, শিবিরের জেলা শিক্ষা সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সাগর, তালা উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মোমতাজ উদ্দীন, ছাত্র শিবিরের তালা উপজেলা সভাপতি জালালুল বান্না, পাটকেলঘাটা থানা সভাপতি নাজমুল হক, মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় বক্তারা বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় লাগি বৈঠা দিয়ে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুঁচিয়ে নিরাপরাধ মানুষকে খুন করে লাশের উপর নৃত্য করে জঘন্যতম বর্বরতার সূচনা করেছিল। সেদিনের লগি বৈঠাধারী সন্ত্রাসীরাই আজকের আগ্নেয়াস্ত্রধারী খুনি, ধর্ষক। খুনি হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেদিন ঢাকা সহ সরাদেশে মেতেছিল খুনের নেশায়। আওয়ামীলীগের লগি-বৈঠার ভয়াবহ নৃশংসতায় জীবন দিতে হয়েছিল সারাদেশে অর্ধশত নিরীহ জনসাধারণের। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর যারা খুনের নেশায় মেতে উঠেছিল অবিলম্বে সেই সকল খুনিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তখনকার গণমাধ্যমে এই পৈশাচিক ঘটনা বিশ্ববাসীকে প্রত্যক্ষ করিয়েছিল। তখনকার সরকার ঐ ঘটনার তদন্ত করে আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এসময় বক্তারা ২৮ অক্টোবরের খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অনুষ্ঠান শেষে ঢাকা থেকে আগত তুরাগ শিল্পী গোষ্ঠী ও তালার সোনার বাংলা শিল্পী গোষ্ঠীর সমন্বয়ে ইসলামিক সাংষ্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
