মীর খায়রুল আলম: বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের দেওয়ার একটি ভিডিও সময় টেলিভিশনে প্রকাশ হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেবহাটার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী শাহিন কাদির জয় (Shahin Kadir Joy) অপমানসূচক মন্তব্য করেন। বিষয়টি দ্রæত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তীব্র ক্ষোভ আর উত্তেজনা দেখা দিতে থাকে স্থানীয় জনতার মাঝে। শাহিন কাদির জয়ের ব্যক্তিগত ফেসবুক থেকে করা ওই মন্তব্যে হুবহু তুলে ধরা হল, “ ৭১ সালের ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে কোথায় ছিলো সেদিন তোমার মায়া কান্না, মায়া কান্না তো দূরের কথা অনুতপ্ত ও হও নাই বরং বলছো এটা দোষে কিছু করে নাই…… মুরুব্বি মুরুব্বি ওহু ওহু অভিনয় টা আরেক টু ভালো হওয়ার দরকার ছিলো”
এদিকে এই ঘটনা কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে থাকে। শনিবার দুপুরের দিকে পারুলিয়া বাসস্টান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলামের মোমেনা বস্ত্রলায় নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে আসলে শাহিন কাদির জয়কে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা আটকে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বাসস্টান্ড এলাকায় অসংখ্য জন সাধারণ জড়ো হতে থাকে। পরে বিষয়টি চরম উত্তেজনার পর্যায়ে পৌঁছালে সেনা সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। সেনা সদস্যরা সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনেন। এঘটনার পর শনিবার রাতে শাহিন কাদির জয় তার ফেসবুক থেকে আরো একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা চেয়ে লেখেন, “ সংবাদ মাধ্যম সময় টেলিভিশনে শ্রদ্ধেয় জামাতের আমীরের বক্তব্যের অংশে আমি একটি কমেন্ট করেছিলাম আমার কমেন্টের জন্য আপনারা যারা ব্যথিত হয়েছেন কিংবা কষ্ট পেয়েছেন তাদের অনুভূতির জায়গার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং এর জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, আশা করি সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”