কলারোয়া প্রতিনিধি: শিক্ষকতাকে কখনো পেশা হিসেবে দেখিনি সন্তানের উপর যেমন মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে ঠিক সেই রকম ভাবেই আমি আমার শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়েছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে দেখতে দেখতে আজ অবসরে চলে এলাম কিন্তু কোনদিন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিক লেখাপড়ার কার্যক্রম দেওয়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখিনি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বিদায়ী বক্তব্যে এমন কথা বলেন সংবর্ধিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুলতানা কামরুন্নেছা।
সোমবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এস এম মফিজুল ইসলামের সভাপতিতে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
সুলতানা কামরুন্নেছার শিক্ষকতা জীবনের চাকুরির বয়স সম্পন্ন হওয়ায় কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ থেকে অবসর পেয়েছেন। এজন্য তার ও তার পরিবারের মঙ্গল কামনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এ সংবর্ধনার আয়োজন করেন।
অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায় প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীসহ সাবেক শিক্ষার্থীরাও পরিচ্ছন্ন পোশাকে বসে আছে তাদের চোখমুখে যেন কাউকে হারানোর বেদনা দেখা যাচ্ছে কিন্তু কষ্টটা কাউকে বলতে পারছে না। শিক্ষক অভিভাবক সকলের একই অবস্থা । কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় শিক্ষিকাকে আর কখনো তাদের বিদ্যালয়ের পাঠদানে পাবে না এমনটা ভেবে অঝোরে কাঁদছে তারা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী শিক্ষক ফুল দিয়ে বরণ করে ক্রেস্ট , সম্মাননা স্মারক ও উপহার তুলে দিয়ে তার কাছ থেকে ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করেন এবং বিদায়ী শিক্ষকও সকলের কাছে দোয়া চেয়ে সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও সংবর্ধিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সুলতানা কামরুন্নেছার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক, সুলতানা মেহেরুন্নেসার মা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আশিকুজ্জামান, ইন্সট্রাক্টর নুর ইসলাম মৃধা, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, ডোনার এম এ হাকিম সবুজ, জমিদাতা সদস্য মাসুম বিল্লাহ, ম্যারেজের কমিটির প্রাক্তন সদস্য আলহাজ্ব বিএম আলফাজ হোসেন পলাশ, সাইদুজ্জামান মেহরুন্নেসা মেঘনা, নাসরিন সুলতানা, বর্তমান সদস্য সাইফুল ইসলাম রনিসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষার্থী অভিভাবক সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুধীজন।
অনুষ্ঠানটি কলারোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সঞ্চালনা ও বিদায়ী শিক্ষিকার জন্য মানপত্র পাঠ করেন বিদ্যালয়ের কাব শিক্ষক অনুপ কুমার।