Site icon suprovatsatkhira.com

ঝাউডাঙ্গা বেতনা নদীর খননকৃত মাটি হরিলুট

ঝাউডাঙ্গা প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১নং ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে পাশ দিয়ে প্রবাহিত বেতনা নদী,। এক সময় বেতনা নদী ছিলো জোয়ার ভাটা ব্যবসায়ী তাদের পণ্য বিভিন্ন হাটে বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য নদীকে ব্যবহার করত সেই নদীতে নেই জোয়ার নদী দুই পাশে অবৈধ দখলদারদের কারণে ভরাট হয়ে গেছে বেতনা। নদী প্রাণ ফেরানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর খননের কাজ করছে। কিন্তু নদী খননের কাজ শেষ না হতেই সেই নদী খননকৃত মাটি কিছু সমাজের মাটি খাদক নামে পরিচিত বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ ইটের ভাটায় কৃষি জমি পুকুর ভরাটের কাজে বিক্রিয় করছে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্ত কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে সে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।বেতনা নদী খননের ফলো এলাকার জলবদ্ধতা নিরসন হবে।কৃষক তাদের জমিতে ফসল উৎপাদন করবে। বেতনার দুই ধারে সবুজের সমাহার হবে নদীর দুপাশে দিয়ে রাস্তা হবে রাস্তার উপর বৃক্ষরোপণ হবে এমনটাই হলো ভালো হবে মনে করছেন সচেতন মহল ।

৬ জুলাই শনিবার রাত্রে বেতনা নদীর পাড়ে গেলে মাটি কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে।কিন্তু নদী খননের রাখা সেই মাটি শুধু দিনে নয় তারা প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে সমাজের মাটি খাদক ব্যক্তিরা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে বেতনা দুই পাড়ের খননকৃত মাটি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন অবৈধ ডাম্পার ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাওয়ার ফলে নদী পাড় ধস ও ফাটলের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো বলেন শুনলাম নদী খননের পর রাস্তা হবে রাস্তা তৈরি করতে যে মাটি লাগবে সেটা কোথায় পাবে তা আমাদের বোধগম্য নয় বলে জানান। দিনমুজুর শরিফুল ইসলাম বলেন সারাদিন রোজগার করে বাড়ী ফিরে রাত্রে যখন ঘুমাতে যাবো ঠিক সেই সময়ে অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি বহনের ফলে রাতের ঘুম হচ্ছে না তা ছাড়া ডাম্পার ট্রাক চলায় অল্প বৃষ্টি হলে মরণ ফাঁদে পরিণত হয় কিছু বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি কথা বলে। অবৈধ ড্রাম ট্রাক চলার ফলে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে প্রাণ দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত অবৈধ ডাম্পার ট্রাকের জন্য পথচারী সহ শিশুদের।এ বিষয়ে প্রশাসনে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন যাহাতে বেতনা নদীর খননের মাটি খাদকরা লুট না করতে পারে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন এলাকাবাসী৷

বেতনা নদীর খননকৃত মাটি অবৈধ ভাবে ডাম্পার ট্রাক দিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারনের মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলো তিনি বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিলো না যদি খননকৃত মাটি অবৈধ ভাবে নিয়ে যায় তাহলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

সাতক্ষীরা বিভাগীয় উপ প্রকৌশলী পানি উন্নয়ন বোর্ড ২ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নদীর খননকৃত মাটি অবৈধ ভাবে নিয়ে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন নদীর মাটি নিয়ে যাওয়ার একটা নীতিমালা আছে যদি নিয়ম অনুযায়ী নিয়ে যায় তাহলে সমস্যা নাই অবৈধ ভাবে নদীর খননকৃত মাটি বহন করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তা ছাড়া রাতে মাটি নিয়ে যাওয়াটা একটা অবৈধ। নদীর পাশে অবৈধ স্থাপনা রেখে নদী খননের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন অবৈধ স্থাপনা ভাঙার ব্যাপারে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে দুই-একদিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।উচ্ছেদের পরবর্তীতে নদী খননের কাজ শুরু হবে বলে জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version