মোঃ রউফ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনার কয়রা উপজেলা সুন্দরবন উপকূলের পাশ দিয়ে গোড়ে উঠচ্ছে এখানকার স্থানীয়রা বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করেন।গত ১জনু থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে। সুন্দরবন বন্ধ হওয়ায় এ-ই এলাকার মানুষের জন মনে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রকৃয়া। তারা বলছে তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ থাকায় আমাদের পরিবার নিয়ে অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে দিন পার করে আসছি। কাঁকড়া ধরা জেলে মোঃ আল-আমিন বলেন এখন বর্ষার মৌসুম এই সময় সুন্দরবনে মালের উপর পানি উঠে সেখান থেকে বেশি কাঁকড়া পাওয়া যায়। ৬দিনের পাশ-পারমিট নিয়ে আমরা সুন্দরবনে যায় সেখান থেকে প্রায় ৮/১০ হাজার টাকা ইনকাম করি সেই ইনকাম দিয়ে সাত ছন্দে আমাদের সংসার চলে যায়। খাল পাটা জেলে আজিজুল বলেন সুন্দরবনে এই সময় চিংড়ি মাছ সহ অন্য, অন্য মাছ বেশি পাওয়া যায় কিন্তু সুন্দরবন বন্ধ থাকায় সেটা থেকে বনচিত্ব হচ্ছি। পরিবার নিয়ে অভাবের মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। ঝাঁকি জাল জেলে রেজওয়ান বলেন সুন্দরবন বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েছি পরিবার নিয়ে। তিনি আরও বলেন সুন্দরবনে এই সময় চিংড়ি মাছ সাদা মাছ বেশি হয় আমরা ৬দিনের পাশ-পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে যায় সেখান থেকে মুটামুটি একটি ইনকাম পাই তা দিয়ে সংসার ভালো ভাবে চলে যায়।মঠবাড়িও ৪ নংকয়রা গ্রামের বেশ কয়েক জন জেলে নাম পরিচয় গোপন রেখে বলেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের আওতাধীন কাশিয়াবাদ ফরেস্ট কর্মকর্তার আনুপেরনায় কিছু সংখ্যাক কাঁকড়া জেলেদের সুন্দরবনে পাঠাচ্ছে। এসকল জেলেরা অভিযোগ করে বলছে যাঁরা কাঁকড়া ধরার নাম করে সুন্দরবনে যাচ্ছে তাঁরা অবৈধ ভেষাল জাল নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে তাঁরা কীটনাশক দিয়ে মাছ শিকার করছে।
অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সুন্দরবনে জেলেরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/