Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলছে তড়িৎ গতিতে: স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে দেরি নেই

সমীর রায়, আশাশুনি : প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আশাশুনি উপজেলাকে ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন গত ১১ জুন। সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তার নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে (৫ম পর্যায়ে) একযোগে ১৮ হাজার ৫৬৬টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন। আশাশুনিতে এদিন ১৪০ পরিবারের হাতে জমির দলিল ও নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তরের কথা থাকলেও জমি ক্রয়ের জটিলতার কারণে নির্ধারিত দিনে ২২টি ঘর হস্তান্তর করা গেছে।
তাই উপজেলার অবশিষ্ট ১১৮টি ভূমি ও গৃহহীন (ক শ্রেণী, ৫ম পর্যায়ে) পরিবারকে পূণর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহ নির্মাণের কাজ জোর কদমেই এগিয়ে চলেছে। আগামী দু’মাসের মধ্যেই ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গুলো তাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান। তিনি জানান, মুজিব বর্ষে উপজেলার সর্বমোট ১০৩৬ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পূণর্বাসনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর আগে ১ম পর্যায়ে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২৬৮টি, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ২য় পর্যায়ে ২৬০, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৩য় পর্যায়ে ১৪৭ ও ৪র্থ পর্যায়ে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ২২১টি পরিবারকে পূণর্বাসনের লক্ষ্যে (৮৯৬) জমি ও সেমি পাকা গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
৫ম পর্যায়ে ১৪০ টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি ঘরের জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকা। যেসব ইউনিয়নে সরকারি খাস জমি পাওয়া যায়নি সেসব ইউনিয়নে জমি কিনে ভরাট করে গৃহ নির্মাণ করতে একটু সময় লেগেছে। ভূমিহীনদের ভূমির দলিল ও গৃহের চাবি হস্তান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত দিনে আমরা বুধহাটা, আশাশুনি ও প্রতাপনগরে একজন করে, শ্রীউলা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে ১১টি ও শ্রীউলা গ্রামের ৮টি পরিবারের হাতে জমির দলিল ও নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেছি।
অবশিষ্ট ঘরের জন্য খাজরা ইউনিয়নের চকতুয়ারডাঙ্গা মৌজায় ১.৫ একর জমি কিনে সেখানে ৫৯টি পরিবারকে পূণর্বাসনের লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। মাটি ভরাটের কাজ শেষে সেখানে গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। আনুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ একসরা গ্রামে ৪৮ শতক জমি কিনে সেখানে ১৯ পরিবারকে পূণর্বাসন করা হবে। মাটি ভরাটের পর পর বর্তমানে সেখানে ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। শ্রীউলা ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত ৫৯ টি ঘরের মধ্যে গাজীপুর গ্রামে ২৭ শতক ও শ্রীউলা গ্রামে ২৫ শতক জমি কিনে (১১+৮) ১৯ পরিবারের সদস্যদের হাতে জমির দলিল ও নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাকি ৩০টি ঘরের জন্য কলিমাখালি গ্রামে ৫৫ শতক জমি কেনা হয়েছে। ২২টি ঘর নির্মাণের জন্য সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। ঘর তৈরির কাজ চলছে। এছাড়া মহিষকুড় গ্রামে ৫২ শতক জমি কিনে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ভরাটের কাজ শেষ হলে সেখানে বাকি ১৮টি ঘর দ্রুত নির্মাণ করা হবে।
আমরা দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি বর্ষা মৌসুমের ভেতরেই বাকি ১১৮ অসহায় ভূমি ও গৃহহীন পরিবার গুলোকে তাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে পারবো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version