নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে লামিয়া খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে জামাতা, মেয়ের শ^শুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উপজেলার সাতবসু গ্রামের মরহুম রুপচাঁদ কারিকরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫) জানান, তার মেয়ে লামিয়া খাতুন নলতা আহছানিয়া মিশন রেসিডেন্সিয়াল কলেজে ল্যাব এসিস্ট্যন্ট (বোটানি) পদে চাকুরি করেন। প্রায় ১৫ মাস আগে লামিয়া খাতুনের সাথে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মাসুম বিল্যাহ কারিকর (২৪) এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর জামাতা মাসুম বিল্যাহর চাহিদা অনুযায়ী নগদ ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক প্রদান করা হয়। কিন্তু তার পরও বিভিন্ন সময়ে লামিয়া খাতুনের শ^শুর নজরুল ইসলাম ও শাশুড়ি নাছিমা ইসলামের কুপরামর্শে মাসুম বিল্যাহ স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। একপর্যায়ে গত শুক্রবার (২৪ মে) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাসুম বিল্যাহ তার বাবা ও মায়ের পরামর্শে আবারও লামিয়াকে পিতার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য নির্যাতন করে। টাকা আনতে অস্বীকার করায় স্বামী মাসুম বিল্যাহ, শ^শুর নজরুল ইসলাম ও শাশুড়ি নাছিমা ইসলাম একযোগে লামিয়া খাতুনকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মরাপিট করে এবং মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ^াসরোধে হত্যার চেষ্টা চালালে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসায় প্রাণে রক্ষা পায় লামিয়া। পরবর্তীতে খবর পেয়ে লামিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার মেয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
যৌতুকের কারণে মেয়ের উপর নির্মম নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী পিতা আলমগীর হোসেন।
কালিগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা, থানায় অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/