Site icon suprovatsatkhira.com

ঘূর্নিঝড় রিমেলের প্রভাবে খাজরায় ভেড়িবাঁধে ভাঙন, সংষ্কারের দাবি

নুরুল ইসলাম, (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি : ঘূর্নিঝড় রিমেলের প্রভাবে আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/২ নং পোল্ডারের আওতায় ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম খাজরা রাজবংশীপাড়া সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী তোফাজ্জেল হোসেন মোড়লের ¯øুইজ গেট থেকে নবকুমারের লবনের ঘর পর্যন্ত প্রায় ২শ মিটার জরাজীর্ন ওয়াপদার রাস্তা নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরী ভাবে সংষ্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বুধবার( ২৯ মে) সকালে জরাজীর্ন ভেড়ীবাঁধ ঘুরে দেখা যায়, গত ২৬ মে ঘূর্নিঝড় রিমেলের আঘাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡বধানে ৭/২ নং পোল্ডারের সদ্য সংষ্কার করা ভেড়িবাঁধের জিও কাপড় ছিড়ে ¯েøাপের মাটির ধস নেমেছে। এছাড়াও তোফাজ্জেল হোসেন মোড়লের ¯øুইজ গেট থেকে নবকুমারের লবনের ঘর পর্যন্ত প্রায় ২শ মিটার ভেড়িবাঁধ মারাত্বক ঝুকিপূর্ন অবস্থায় আছে। কোথাও কোথাও এক হাতের মত জায়গা আছে। বর্ষা মৌসুমে এই বাঁধটি ভেঙে গেলে খাজরা,রাউতাড়া বিলে হাজার বিঘা মৎস্য ঘের প্লাবিত হবে। ক্ষতি হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা। তাছাড়াও লবনপানি প্রবেশ করে লোকালয়ের মানুষেরও পানি বন্দী জীবন যাপনসহ ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। যদিও কপোতাক্ষ নদ ভরাট হয়ে গেছে তারপরও বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে এই ভেড়িবাঁধগুলো ঝুকিমুক্ত নয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৭/২ নং পোল্ডারের আওতায় উপক’লে পশ্চিম খাজরা রাজবংশীপাড়ার প্রায় ৪০টি পরিবার বসবাস করে। অধিকাংশ পরিবার কপোতাক্ষ নদে জাল ধরে তারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। উপকূলীয় বাসিন্দা হওয়ায় তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আতঙ্কে থাকে। তাদের দাবি এই ভেড়িবাঁধ গুলো যদি কংক্রিট বøকের মাধ্যমে টেকসই ভেড়িবাঁধ নির্মান করা যায় তাহলে আমরা স্থায়ীভাবে ঝুকিমুক্ত হবো।
ভেড়িবাঁধ সংষ্কারের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা অশোক কুমার মজুমদার বলেন,আমাদের এই নদী পাড়ের বাসিন্দারা অধিকাংশ নি¤œ আয়ের ব্যক্তি। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হলে আমাদের দুর্দশার শেষ থাকবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,খাজরা ইউনিয়নের খাজরা গ্রামকে বলা ভূস্বর্গ। সব জায়গায় লবন পানি উঠলেও খাজরা গ্রামে কখনও লবন পানি উঠে নাই। এই জরাজীর্ন বাঁধটি দ্রæত সংষ্কার না করলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে লবন পানি প্রবেশ করতে পারে। এলাকাবাসী কে ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে অতি দ্রæত এই বাঁধটি সংষ্কার করতে হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version