Site icon suprovatsatkhira.com

ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মিমকে বাঁচাতে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান

সুপ্রভাত ডেস্ক : মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার বাসা বেধেছে শিশু মিমের শরীরে। শিশু মিমকে বাঁচাতে পাঁচটি কেমো থেরাপি দেওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যার প্রতিটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সাতক্ষীরার সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের খানপুর এলাকার চায়ের দোকানি মোছা: ফজিলা খাতুনের নাতনি মিম। নানির অভাব অনাটনের সংসারে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে বেড়ে উঠেছে শিশুটি।

মিমের মা মোছা: রুবিনা খাতুন জানান, ‘মেয়ের অসুস্থতায় চিকিৎসার খরচ জোগাতে না পেরে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছেন মিমের বাবা মো: ইসরাইল হোসেন’। তিনি আরো জানান, ‘আমার ছোট ভাইও ক্যান্সারে আক্রান্ত। মায়ের ছোট্ট একটা চায়ের দোকান থেকে যা উপার্জন হয় তাতে কোনোরকম সংসার চলে। ভাই ও আমার শিশু মেয়ের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য আমাদের নেই। তারপরও খেয়ে না খেয়ে কিছু টাকা সঞ্চয় করে আমার মেয়েকে ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছি’।

শিশু মিমের নানি মোছা: ফজিলা খাতুন জানান, ‘নাতনি মিমের চোখের সমস্যা হওয়ায় ঢাকায় চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে কিছু দিন থাকার পর ডাক্তার জানায় মিমের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ৫টা কেমো দিতে হবে। প্রতিটি কেমোর দাম ৫০হাজার টাকা। এছাড়া চোখের অপারেশন করতে হবে। তাতেও এক থেকে দুই লাখ টাকা প্রয়োজন’। তিনি আরো জানান, ‘আমি ছোট একটা চায়ের দোকান চালায়। সেখান থেকে যা আয় হয় তাতে অতি কষ্টে সংসার চলে। একদিকে আমার ছেলেটা ক্যান্সারে ভুগছে। তার উপর নাতনির এই অবস্থা’।

মোছা: ফজিলা খাতুন আরো জানান, ‘এমন পরিস্থিতিতে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। শিশু নাতনির কষ্ট চোখেও দেখতে পারছি না। এমন পরিস্থিতিতে সমাজের বিত্তবান মানুষেরা এগিয়ে আসলে আমার শিশু নাতনিকে হয়তো বাঁচাতে পারতাম!’। তিনি তার নাতনির চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা ও দোয়া চেয়েছেন। ০১৭৬২২৬৯০৮৭ (পার্সোনাল) নম্বরে নগদ অথবা বিকাশের মাধ্যমে সাহায্য পাঠানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version