নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কালিগঞ্জ জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সাংবাদিকসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলার মৌতলা গ্রামের মৃত মশিউর রহমানের ছেলে আরাফাত আলী (৩৭) লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি পেশায় একজন সংবাদ কর্মী। গত ২২ এপ্রিল রাত ১০ টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টাফ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সিরাজনগর গ্রামের আরজেদ আলীর ছেলে ইমরান খাঁন (২২), যশোরের রূপদিয়া থানার জিরাদা গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৬), ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানার শ্রীধরকুন্ড গ্রামের আশরাফুজ্জামানের ছেলে আব্দুর রব (২১)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন মৌতলা গ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন এর বাড়ি সংলগ্ন পল্লী বিদ্যুৎ এর অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে যান।তারা মৎস্যঘেরের পার্শ্ববর্তী স্থান হতে অবৈধ বৈদ্যুতিক মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এসময় তারা সাংবাদিক আরাফাত আলীর বৈধভাবে ব্যবহৃত মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিদ্যুৎ ব্যবহার করার পাশাপাশি আনুমানিক ৫ হাজার টাকার তার ক্ষতিসাধন করে। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিক আরাফাত আলী, মৌতলা গ্রামের শেখ আবুল খায়েরের ছেলে শেখ হাসান (৩৪), মৃত কাজী নাজিম উদ্দীনের ছেলে কাজী সাফায়েত হোমেন বিপ্লব (৩৭) ঘটনাস্থলে যেয়ে তাদের কর্মকান্ডের কারণ জানতে চাইলে তারা উত্তেজিত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতের স্টাফ ইমরান খাঁনের নির্দেশে সাংবাদিক আরাফাত ও হাসানকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, চড়, থাপ্পড় মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। এক পর্যায়ে হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকের মাথায় আঘাত করতে গেলে হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় ডান হাতের কব্জির উপরে লেগে গুরুতর জখম হন।
তারা হাসানের মাথায় সজোরে আঘাত করে কাটা রক্তাক্ত জখম করে ও পকেটে থাকা ৫ হাজার ৮৯০ টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাত করেন।
চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্টাফদের কবল থেকে রক্ষা করে। এসময় তারা বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহতরা কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কালিগঞ্জ জোনের ডিজিএম আব্দুর রহমান বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে ভুল বোঝাবুঝির ফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আমাদের স্টাফদের মারপিট করায় আহত তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।