Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ২নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আফছার উদ্দীনের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সরেজমিন জানা গেছে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকালে বিদ্যালয় সংলগ্ন দু’টি বড় গাছ কেটে ফেলার প্রয়োজন দেখা দেয়। ওই গাছ দু’টির মালিকানা দাবি করে স্কুল কতৃপক্ষ। গাছ দু’টির ডালপালা বিক্রি এবং গাছের গুড়ি দু’টি পরবর্তীতে সরকারিভাবে নিলাম করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাড়ান স্থানীয় ইউপি সদস্য আফছার উদ্দীন। তিনি ওই দু’টি গাছ জেলা পরিষদের জায়গায় অবস্থিত বলে দাবি করেন এবং নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিতে থাকেন। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য দু’টি গাছের ডালপালা ২৭ হাজার টাকা বিক্রি করেন এবং গাছের গুড়ি দু’টি স্কুল কর্তপক্ষের জিম্মায় না দিয়ে কৌশলে আত্মসাতের চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে অবহিত করেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে গাছ দু’টি জেলা পরিষদের নাকি স্কুলের জায়গায় অবস্থিত সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জেলা পরিষদ সদস্য শেখ ফিরোজ কবির কাজল গাছের গুড়ি দু’টি এনে উপজেলা সদরে অবস্থিত জেলা পরিষদ ডাকবাংলা চত্ত্বরে সংরক্ষণ করেন। তবে প্রায় তিনমাস আগে ডালপালা বিক্রির ২৭ হাজার টাকা আফছার মেম্বার হজম করে ফেলেছেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য শেখ ফিরোজ কবির কাজলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু লোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে দু’টি গাছ কালিগঞ্জ ডাকবাংলা চত্ত্বরে এনে রেখেছি। তবে ডালপালা বিক্রির ২৭ হাজার টাকা বুঝে পাইনি। ওই টাকা আফছার মেম্বারের কাছে আছে বলে জানতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত টাকা কেন দিলোনা সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানাতে পারবো।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আফছার উদ্দীন গাছের ডালপালা বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ২৭ হাজার টাকা বিক্রি করলেও গাছ কাটার মুজুরি বাবদ কিছু টাকা ব্যয় হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদের টাকা দীর্ঘদিন যাবত না দিয়ে নিজের কাছে কেন রেখেছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফিরোজ কবির কাজল এর সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version