ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
শ্যামনগরে আইওটি ডিভাইজ উন্নয়ন এবং চিংড়ি চাষে এর সফল প্রয়োগ শীর্ষক কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিনিধি:সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আইওটি ডিভাইজ উন্নয়ন এবং চিংড়ি চাষে এর সফল প্রয়োগ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুশীলন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (১ম সংশোধিত) এর অর্থায়নে “আইওটি বেজড স্মার্ট এ্যকুয়াকালচার ফর শ্রিম্প কালচার টেকনোলজি ইনোভেশন, পাইলটিং এন্ড কর্মাশিয়ালাইজেশন” শীর্ষক সাব প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট পরিচালক মোহাম্মদ জিয়া হায়দার চৌধুরী। কর্মশালায় আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট এর উপ-প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি। মৎস্য অধিদপ্তর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ এবং অত্র এলাকার চিংড়িচাষীগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মৎস্যখাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে ৪ জুলাই ১৯৭২ সালে কুমিল্লার এক জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন, মাছ হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। বঙ্গবন্ধুর সেই বাণী বাংলাদেশে আজ বাস্তব রূপ নিয়েছে। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমরা যদি আমাদের অর্থনীতির ভিতকে আরও শক্তিশালী করতে চাই তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম জায়গায় বেশি মাছ উৎপাদনের কোন বিকল্প নেই। তৎপ্রেক্ষিতে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চিন্তা মাথায় নিয়ে আইওটি-বেজড স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার ও এর উৎকর্ষতা চাষী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। আর সেই বাস্তবতার নিরিখে চিংড়িচাষীদের মাঝে এই নতুন প্রযুক্তির প্রসার চিংড়িচাষের ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সুচনা। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে চিংড়ি শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম। চিংড়ি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী সম্পদ। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ ও মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চিংড়ি সম্পদের ভূমিকা সর্বজন স্বীকৃত। বাংলাদেশে মূলত দক্ষিনাঞ্চলে তথা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা ও কক্সবাজার জেলায় চিংড়ি চাষ হচ্ছে। 8,559,205 total views, 9,811 views today |
|
|
|