ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা শহরের নিরাময় ক্লিনিকে এক প্রসূতি নারীর অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রসূতি নারীর শ^শুর তালা উপজেলার ধানদিয়া কাটাখালি গ্রামের দিনমজুর মো. লাল্টু সরদার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ‘মো. লাল্টু সরদারের পুত্রবধূ নাসরিন বেগম গর্ভবতী অবস্থায় প্রসব বেদনা হলে স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে সাতক্ষীরা শহরের জজকোর্ট এলাকার নিরাময় ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। তারা রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় সন্তান প্রসব করাতে হলে সিজারিয়ান অপারেশন করা লাগবে। সেক্ষেত্রে ডা. দেব দুলাল সবথেকে ভালো, তাকে দিয়ে অপারেশন করানো হবে। কিন্তু কথামত ডা: দেব দুলালকে দিয়ে অপারেশন না করিয়ে অন্য কোন ডাক্তারকে দিয়ে অপারেশন করায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী ২৫ সেপ্টেম্বর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিলে রোগী আর নবজাতককে নিয়ে তারা বাড়িতে যায়। সিজার পরবর্তী বাড়িতে থাকাকালীন পুনরায় ওই প্রসূতির বিভিন্ন ধরনের শারিরীক সমস্যা দেখা দিলে পুনরায় ২৯ সেপ্টেম্বর তারা প্রসূতি নারীকে নিয়ে নিরাময় ক্লিনিকে গেলে পূর্ববর্তী ঔষধ পরিবর্তন করে নতুন ঔষধ লিখে দেয়। সেই নতুন ঔষধ খেয়ে শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি হয়। পরে ০১ অক্টোবর তারা ওই রোগীকে নিয়ে পুনরায় নিরাময় ক্লিনিকে গেলে আবারো ঔষধ পরিবর্তন করে নতুন ঔষধ লিখে দিয়ে বলে আর আসা লাগবে না। এমনকি তৃতীয়বারের ঔষধ লিখে দেওয়ার সময় ব্যবস্থাপত্রের তারিখ বা কোন ডাক্তার ঔষধ লিখেছেন তার কোন স্বাক্ষর বা প্রমাণ সেখানে ছিল না’।
ভুক্তভোগী ওই প্রসূতির শ^শুর অভিযোগে আরো উল্লেখ করেছেন, ‘সর্বশেষ ব্যবস্থাপত্রের ঔষধ সেবন করার পরও তার পুত্রবধূর শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে ০৯ অক্টোবর তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৩১ অক্টোবর রোগীকে ছাড়পত্র দেয়। এমন অপচিকিৎসার ফলে রোগীর শারিরীক ও মানসিক কষ্টসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে’।
এ ঘটনার প্রতিকার এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়ে ভুক্তভোগী ওই প্রসূতির শ^শুর দিনমজুর মো. লাল্টু সরদার নিরাময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: শেখ আবু সুফিয়ান রুস্তম বলেন, ‘আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। অফিসে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো’।