Site icon suprovatsatkhira.com

চাকরি ছেলের: দায়িত্ব পালন করেন পিতা

মো. মাজহারুল ইসলাম : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকরি করেন লাবসা এলাকার শেখ মুজাহিদুল ইসলাম। অথচ তার পরিবর্তে স্কুলে দীর্ঘদিন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শেখ মুজাহিদুল ইসলামের পিতা শেখ বাহারুল ইসলাম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেখ মুজাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ লাবসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকরি করেন। এ পদে ২৪ ঘন্টা দায়িত্ব পালনের স্বর্তে নীতিমালা মেনেই চাকরিতে যোগদান করেন শেখ মুজাহিদুল ইসলাম। তবে বর্তমানে তিনি দিনের বেলায় স্কুলের দাপ্তরিক কাজ সামলালেও রাতে প্রহরায় থাকেন তার বৃদ্ধ বাবা শেখ বাহারুল ইসলাম। অভিযোগ আছে রাতে পাহারায় থাকাকালীন অীধকাংশ সময় তিনি ঘুমিয়েই কাটান। স্থানীয়দের অভিযোগ, ছেলের চাকরি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সামলাচ্ছেন বাবা। এতে বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘিœত হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ‘বিগত ২০১৫ সালে ০২রা আগস্ট রাতে একই ক্যাম্পসের লাবসা ইমদাদুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লাবসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে নগদ টাকাসহ বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়। সে সময়েও ছেলে শেখ মুজাহিদুল ইসলামের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করতেন পিতা শেখ বাহারুল ইসলাম। এ চুরির ঘটনার পর থেকে শেখ মুজাহিদুল ইসলাম নিজের দায়িত্ব পালন করলেও পুনরায় তার পরিবর্তে পিতা শেখ বাহারুল ইসলাম নৈশ প্রহরীর কাজ করছেন। তারা আরো জানান, ‘শেখ মুজাহিদুল ইসলামের পিতা শেখ বাহারুল ইসলাম বৃদ্ধ মানুষ। তিনি রাতের অধিকাংশ সময় ঘুমিয়ে কাটান। সুতরাং স্কুলের নিরাপত্তার স্বার্থে পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আগেই বিষয়টি সমাধান হওয়া জরুরী’। এ বিষয়ে লাবসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী শেখ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা মাঝে মাঝে নৈশ প্রহরীর কাজ করেন। তবে চাকরিটা আমার’। এ ব্যাপারে লাবসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসপিয়ারা খাতুন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো’। এ বিষয়ে কথা বলতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version