বিশেষ প্রতিনিধি : আজীবন মানবতার সেবায় জানমাল উৎসর্গ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত সাতক্ষীরার এজাজ আহমেদ স্বপন। তিনি সাতক্ষীরা শহরের লাবসা গ্রামের শেখ রওশন আহমেদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুরস্কারপ্রাপ্ত) ও আলেমা খাতুনের কনিষ্ঠ পুত্র। তার পরোপকারি গরীবের বন্ধু হিসেবে পরিচিত সমগ্র জেলাব্যাপি। জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে লাবসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখায় হাতে খড়ি তার। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন এজাজ আহম্মেদ স্বপন। ১৯৮৯ সালে মরহুম মমতাজ উদ্দীনের নির্বাচনী পোস্টার লাগানোর মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
তিনি সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পারন করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৯২-৯৩ সালে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি (সিনিয়র), বাংলাদেশ ও জাতীয় পরিষদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৯৪-৯৫ ও ১৯৯৬-৯৮ সালে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক (সিনিয়র) ছিলেন। এছাড়া ২০০১-২০০২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মনোনীত হন। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দক্ষ সংগঠক, রাজপথের সক্রিয় কর্মী আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার পিতা শেখ রওশন আহমেদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লাবসা ইউনিয়ন শাখার সভাপতি (আমৃত্যু) ছিলেন। ডা. শেখ রাশিদ আলী, সাবেক সহ-শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক লীগ, সাতক্ষীরা। বড় ভাই শেখ ফারুক আহমাদ, সাবেক সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ম-ই)।
শেখ এজাজ আহম্মেদ স্বপন সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন ইউনিটে অতিরিক্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমন: আহŸায়ক, শ্যামনগর থানা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। (১৯৯১) আহ্বায়ক, আশাশুনি থানা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। (১৯৯২) আহŸায়ক, সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ নবীন বরণ ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি। (১৯৯৩) বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন। আহŸায়ক : ভোমরা স্থলবন্দর সি এন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশন, ভোমরা, সাতক্ষীরা। আহŸায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর বিগত ০৪ মাসে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন। প্রথমবারের মত ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ও সধারণ সদস্যদের নিয়ে পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়া সফর, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়া সফরের ব্যবস্থা করা। জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ভোমরা স্থলবন্দরে দৈনিক ১২ হাজার লিঃ বিশুদ্ধ সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরণ। ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রেরণের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা। পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস হাউস প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি।
এছাড়া একাধারে আহ্বায়ক ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী এ্যাসোসিয়েশন, ভোমরা, সাতক্ষীরা। ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী এ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা। সদস্য সচিব ৮০ ও ৯০ দশকের সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটি, সাতক্ষীরা। সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য ৮০ ও ৯০ দশকের সাবেক ছাত্রনেতা সমন্বয় কমিটি গঠনের সমন্বয়কারী এবং বর্তমানে সদস্য সচিবের দায়িত্বরত এবং বিগত নির্বাচনের আগে জেলার সর্বস্তরের সাবেক নেতা কর্মীদের কনভেনশনের মাধ্যমে একত্রিত করে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। নৌকা প্রতিকের প্রচার সেল, সাতক্ষীরা।
পর্যায়ক্রমে আগমীতে এ কার্যক্রম আরো ও মসজিদে বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা শেখ এজাজ আহম্মেদ স্বপন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সাতক্ষীরা জেলার আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছি।
এছাড়া সভাপতি : বিসিক শিল্প উদ্যোক্তা ফোরাম, বিসিক থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া শিল্প উদ্যোক্তাদের সংগঠন, সাতক্ষীরা। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পাওয়ার পর-সাতক্ষীরা জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন। ভোমরা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ বন্দরে রুপান্তর। বসন্তপুর নৌ-বন্দর চালুর দাবি জানিয়ে আপনার বরাবর আবেদন করা হয়। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় অনুমতি সাপেক্ষে সাতক্ষীরা জেলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা নির্ধারণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। সবশেষ তিনি আজীবন মানব সেবায় নিজের জানামাল উৎসর্গ করার আশবাদ ব্যক্ত করেন।