জুন ১০, ২০২৩
শ্যামনগরে আদি যমুনা খননের বড় বাধা অপসারন
নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড গুড়িয়ে দিয়েছে ঝন্টুর তিন তলা অবৈধ্য ভবন। আদি যমুনা নদী ইছামতি ও মাদার সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিনাম দর্শি প্রকল্প গ্রহনের ফলে নদী তার ঐতিহ্য হারাতে বসে। হারানো নদী ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহীর নেতৃত্বে আদি যমুনা বাচাও আন্দোলন কমিটির আবার আলোচনায় আসে আদি যমুনা নদীর অস্থিত্ব। পানিউন্নয়ন বোর্ডও নদীটি খননের উদ্যোগ নেয়। ২০০৭ সালে তত্বাবোধায়ক সরকারের আমলে অবেধ্য উচ্ছেদ কার্যক্রমের আওতায় আদি যমুনার উপর অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু হলে শ্যামনগর সদরের অবৈধ্য এক ভবনকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ থেমে যায়। অবৈধ্য স্থাপনার কারনে যমুনার প্রবাহ হারিয়ে যাওয়ায় আসে পাশের গ্রাম ও নকিপুর বাজার বর্ষ মৌসুমে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। মানুষ নদী খননের জন্য দাবী জানাতে থাকে। সম্প্রতি পাউবো আদি যমুনার শ্যামনগর অংশের খননের জন্য অর্খ বরার্দ্দ ও ঠিকাদার নিয়োগ করে। কিন্তু খনন কার্যক্রম শুরু করতেই অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ কেন্দ্র করে থমকে যায়। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাষন ও শ্যামনগর সদর চেয়ারম্যানের আন্তরিকতা মানুষ আশায় বুক বাধে। চলতি মাসে শ্যামনগরের শ্মাশানের প¦ার্শ থেকে নূতন করে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ ও খনন শুরু হয়। এ শুরুর এক পর্যায়ে ঝন্টুর অবৈধ্য তিন তলা ভবন উচ্ছেদের দাবী উত্থাপিত জোরালো হয়। গতকাল ১০ জুন সকাল থেকে পানিউন্নয়ন বোর্ড যমুনা সংশ্লিষ্ঠ সকল মৌজা মেপে বিকালে ভবন ভাংগা কার্যক্রম শুরু করেন। উল্লেখ্য স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে অব্যহত গতিতে জনমত গড়ে তুলতে নিয়মিত শেখ আব্দুস সালাম, মারুফ হোসেন মিলন ও ইরমান হোসেন পোষ্ট দিতে থাতে। তাদের এ প্রচারনাই ঝনাটুর ভবন ভাংগে কতৃপক্ষকে অনেক সহযোগিতা করে। 8,562,565 total views, 1,270 views today |
|
|
|