নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় দৃষ্টি আই হসপিটালের জেনারেটর রুমে দাহ্য পদার্থের স্তুপ করে রেখেছে টাইলস গ্যালারী এন্ড সেনেটারী নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এতে যেকোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংঙ্খা করছেন আগতরা। সাতক্ষীরা শহরের প্রাণকেন্দ্র নারকেল তলা মোড়ের দৃষ্টি আই হসপিটাল চিকিৎসা সেবা দানে অনন্যতা সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগীদের অভিযোগ হসপিটালটির সামনে টাইলস গ্যালারী এন্ড সেনেটারী নামে ১টি দোকানের মালামাল ও পাইপ রাখায় চিকিৎসা সেবায় চরম ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ফিরোজ হোসেন, ফাহাদুর রহমান, আঞ্জুয়ারা বেগম, রাইসুল ইসলাম সহ একাধিক চোখের রোগে আক্রান্ত রোগীরা জানান, সাতক্ষীরাবাসী চোখের চিকিৎসায় আগে জেলার বাইরে ও দেশের বাইরে যেতে হতো। সেই চোখের চিকিৎসা সেবা এখন সাতক্ষীরাবাসীর দোরগোড়ায়।
যে বিল্ডিং-এ হসপিটালটি গড়ে উঠেছে ঐ বিল্ডিং এর প্রবেশ পথে পাইপ সহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ও দাহ্য পদার্থ রাখা হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড সহ সামনের ফ্লোরে গাড়ি পার্কিং-এর কোন সুযোগ নেই। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কোল ঘেষে ৫ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টি আই হসপিটাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। হসপিটালটি পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা জেনারেটর নিচের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয়েছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের সুবিধা চালু রাখতে অতি সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ রক্ষায় জেনারেটরের গুরুত্ব অপরিসীম। সে জেনারেটর রুমে দ্রæত গতিতে বিদ্যুৎ অফ-অন করতে গেলে কোন ভাবেই সম্ভব না। কেননা হসপিটালের সামনে তো দখল করা হয়েছে, সাথে গ্রাউন্ড ফ্লোরের সর্বত্রই প্লাষ্টিকের কার্টুন, সেনেটারীর বিভিন্ন প্লাষ্টিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ রাখা হয়েছে। এবিষয়ে হসপিটাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হলে জানান, বিল্ডিং এর মালিককে রোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বারংবার বলা হলেও দাহ্য পদার্থসহ সেনেটারী মালামাল সরানোর জন্য কেবলই সময়ক্ষেপন করছে।
ভবনটির মালিক আলমগীর কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, টাইলস ও সেনেটারী ব্যবসায়ী অন্যত্র ঘর নিয়েছেন। দ্রæত স্থানটি খালি করার ব্যবস্থা করার জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। হসপিটালের ২৪ ঘন্টা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি শক্তশালী জেনারেটর আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে পরিচালিত হয়ে থাকে। যে জেনারেটরটি একটানা ২ ঘন্টা সার্ভিস দিয়ে বাইরের বাতাস না পায় তাহলে যেকোন মুহুর্তে আগুন ধরে যেতে পারে। সে কারণে হসপিটালটির স্টাফসহ শত শত রোগীরা রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। এই বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান কে অবহিত করা হলে তিনি দ্রæত বিষয়টি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বস্ত করেন। সাতক্ষীরা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা শিমুল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। এদিকে সেনেটারী ও টাইলস ব্যবসায়ী সুমনের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দ্রæত স্থানান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন।