Site icon suprovatsatkhira.com

তালা উপজেলা বিসিএ’র সহ-সভাপতি পাষ্টর মদনের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ

তালা প্রতিনিধি : তালায় মদন কুমার ওরফে মশিহ নামের এক খ্রিস্টান পালকের বিরুদ্ধে দফায় দফায় অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হবার অভিযোগ উঠেছে। মদন কুমার মশিহ উপজেলার গোনালী গ্রামের কালীপদ ওরফে কোধো’র পুত্র এবং সেভসোল চার্চ বাংলাদেশ’র অধিন ৫/৭টা চার্চের পালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন (বিসিএ)এর তালা উপজেলার সহ-সভাপতি মদন মশিহ’র বারবার অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় সাধারন খ্রিস্টান সমাজের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানাগেছে, গোনালী গ্রামের মদন ওরফে মশিহ অত্যান্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিল। সে সেভসোল চার্চ বাংলাদেশ’র পালক হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকে রাতারাতি ধনী হতে থাকে। পাকা বাড়ি, পাকা অবকাঠামো সহ অন্তত অর্ধকোটি টাকার মালিক হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, পালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মদন চার্চের টাকা আত্মসাৎ সহ কৌশলে বিদেশী দাতাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ধনী হয়েছে। টাকার গরমে সে বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশন (বিসিএ)এর তালা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি হয়। এই ক্ষমতা এবং অবৈধ টাকার প্রভাবে সে একের পর এক নারীদের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে এবং ধরা পড়ছে।
সম্প্রতি মদন মশিহ তালার হাতবাস গ্রামে এক মেয়ের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে। জনতা তাকে স্থানীয় জাতপুর ক্যাম্প পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই রাতে মদন মশিহ ভিকটিম মেয়ের পরিবারকে ম্যানেজ করে ক্যাম্প পুলিশ থেকে ছাড়া পায়। এঘটনায় খ্রিস্টান সমাজের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনার পর গত ২২ জুন বাংলাদেশ খ্রিষ্টিয়ান এ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) তালা উপজেলার সহ-সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়। মদন মশিহ এর আগেও একাধিকবার নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়ে এবং জেল হাযতবাস করে।
এঘটনায়, বাংলাদেশ খ্রিষ্টিয়ান এ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ) তালা উপজেলা শাখার সভাপতি প্রদ্যুৎ সরকার ওরফে দূত কুমার জানান, মদন ওরফে মশিহ সরকার আমাদের কমিটির সহ-সভাপতি ছিল। একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে নোটিশ করে তাকে সংগঠনের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে, গত ২২জুন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক উত্তম দাশ স্বাক্ষরিত উক্ত নোটিশ সূত্রে জানাগেছে, অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পালক মশিহকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এব্যাপরে অভিযুক্ত মদন মশিহ বলেন, হাতবাস গ্রামের ওই মেয়েটা খারাপ তা আমি জানতাম না। সেদিন অফিসের কাজ শেষে রাতে ওই মেয়েকে সাথে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এসময় জনগন অনৈতিক কাজের অভিযোগে আমাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে আমার কাছে পাওনা ওই মেয়ের পরিবারের ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে বিষয়টি মিটে যায়। আর গ্রামের যে মহিলা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টার মামলা করেছিল তা হাইকোর্টে চলছে। এই মামলা করে তারা নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে।
এবিষয়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, ৪/৫ বছর আগে মদন মশিহ একই গ্রামের এক বৃদ্ধা মহিলাকে সন্দেশের সাথে চেতনানাশক ওষুদ খাওয়ায়ে তার শিশু নাতনীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এঘটনায় বৃদ্ধা মহিলা অচেতন হয়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয় এবং মদন মশিহ’র বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। পুলিশ লম্পট মদন মশিহকে আটক করে জেল হাযতে প্রেরন করে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version