নিজস্ব প্রতিনিধি: সংবাদ কর্মী ইয়ারব হোসেন বরাবরে মতোই এবারও আয়োজন করেছেন বেতীক্রমী উদ্যোগ। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের এই যুগে তার এবারের লড়াই বিনা মূল্যে মানুষের মাছে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ। অতি দরিদ্র ও হত দরিদ্র মানুষের বাড়ির আঙিনা ও পড়ে থাকা জমিতে ফলজ বৃক্ষ লাগানোর জন্য বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করেছেন। সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন ইত মধ্যেই জেলা বাসির কাছে পরিবেশ বন্ধু হিসাবে পরিচিত পেয়েছেন। নিরঅহংকারী ও গাছ দরদি সংবাদ কর্মী ইয়ারব হোসেন বলেন, জনসংখ্যার অধিক চাপে ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে ঘরবাড়ি। হরদম কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ নিয়ম-নীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। ব্যাপক হারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খাদ্য সমস্যা একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
আগেকার দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিনভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনিতেই দেশ পানিতে ডুবে যাওয়ার সতর্কবাণী দেয়া হচ্ছে।আগে গাছে যে পরিমাণ ফল পাওয়া যেত, এখন আর সে পরিমাণ ফল পাওয়া যায় না। আগেকার দিনে গ্রামাঞ্চলে আম, জাম, লিচু, কাঠাল, পেয়ারা, ছফেদা, লেবু, সুপারি, নারিকেলসহ হরেক প্রজাতির ফল উৎপাদিত হতো। এখন যে পরিমাণ ফল উৎপাদন হয়, তা দিয়ে মানুষের চাহিদাই পূরণ হয় না। কারণ এসব গাছ এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। ফলবান বৃক্ষ নিধন করে মানববসতি গড়ে তোলা হচ্ছে।
আজকের দিনে শিশু-কিশোরদের কাছে আগেকার দিনের ফল-ফলাদির কথা বললে তারা বিশ্বাসই করতে চায় না। সেই দিন আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য দরকার অধিক হারে বৃক্ষরোপণ। গাছে গাছে, ফুলে-ফলে ভরে উঠুক আমাদের বাড়ির আঙ্গিনা। স্কুল প্রতিষ্ঠানে, বাড়ির আঙ্গিনায়, রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। বৃক্ষ নিধনের মিছিল এভাবে চলমান থাকলে মানবজীবন হুমকির মুখে পড়বে, পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে, দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, পৃথিবী ধ্বংসের মুখোমুখি হবে। তাই গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।
বিনামূল্যে মানুষের মাঝে আম গাছের চারা বিতরণ করছেন সাতক্ষীরা জেলার তুজুলপুর গ্রামের বৃক্ষ প্রেমিক সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা এবং সবুজের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তার এই কার্যক্রম। ১৩ জুন মঙ্গলবার বিকালে তুজুলপুর কৃষি ক্লাব থেকে শতাধিক আম গাছ বিতরণ করেন সাধারণ মানুষের মাঝে ২০১৪ সালে গড়ে তোলেন একটি গাছের পাঠশালা নামক নার্সারি। সাথে বাড়তি পাওনা, গাছ লাগানোর শখ মেটানো। পকেটের টাকা খরচ করেই, গ্রামের রাস্তার দুপাশ, হাটবাজার, স্কুল-কলেজ, মসজিদ যেখানেই খালি জায়গা পেয়েছেন, সেখানেই লাগিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের গাছ। পরিচর্যাও করছেন নিয়মিত।
এই উদ্যোগের উপকারভোগীও কম নয়। তাদের সবারমুখেই এখন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের প্রশংসা।
গাছ উপহার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম, কৃষকক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম রহমান, সাংবাদিক সোহাগ হোসেন ও আল আমিন গাজী।