নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার খাজরায় অর্ধশত পারিবারিক ভাবে লালন পালন করা খামারে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানীর পশু বিক্রয়ের লক্ষ্যে প্রস্তুত আছে। চলছে ক্রেতা বিক্রেতার দরদাম। মঙ্গলবার(২০ জুন) সকালে ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের একটি বাণিজ্যিক খামার ও কয়েকটি পারিবারিক খামার পরিদর্শন করে দেখা যায়,ঈদুল আজহার কোরবানীর পশু বিক্রয়ের জন্য ক্রেতার অপেক্ষায় অনেক খামারী। দরদাম ও চলছে। খামারে পশুদের সাজ সজ্জা ও পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ করছে প্রান্তিক এ খামারীরা।
পরিদর্শনে দেখা যায়,খালিয়া গ্রামের আবু বক্করের পুত্র বাণিজ্যিক ভাবে প্রায় বিভিন্ন জাতের ১৭টি ষাড় নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি খামার। এ খামারে ৭০হাজার থেকে ১লাখের উপরে দামের গরু আছে। আব্দুল হামিদের পুত্র আশরাফুল সানাও দুটি ষাড় পেলেছেন। ১ লাখের উপরে তিনি দাম হাকছেন।
এদিকে একই গ্রামের ঈশান মন্ডল নেপালী ও সিন্ধু জাতের দুটি ষাড় পেলেছেন। এক একটির ওজন প্রায় ৮ থেকে ১০মন।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়,ইউনিয়নের প্রায় ৭০ভাগ মানুষের বাড়িতে কম বেশি গবাদী পশু হিসাবে গরু,ছাগল এবং ভেড়া আছে। তবে এবছর হঠাৎ গরু,ছাগলের মহামারী ভাইরাস আক্রমন করার ফলে ইতিমধ্যে অনেকের ছাগল মারা গেছে। একাধিক ব্যক্তির গরুও লাম্পি বা পক্স(স্থানীয় ভাষায়) রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার তথ্যও আছে। এলাকার বিল গুলোতে যথেষ্ট গবাদী পশু গরু চরতে দেখা যায়।
খালিয়া গ্রামের ঈশান মন্ডল জানান,গত বছর আমি নেপালী ও সিন্ধু জাতের দুটি ষাড় ক্রয় করেছিলাম। এবছর কোরবানীর ঈদে ষাড় দুটো বিক্রয় উপযোগী হওয়ায় ক্রেতার অপেক্ষায় আছি। তিনি আরও জানান,আমি ও আমার স্ত্রী দিন রাত পরিশ্রম করে গরু গুলো কে গমের ভূষি,চালের কুড়া,ভুট্টার গুড়া,কাঁচা ঘাস ইত্যাদি খাওয়ায়। গরু মোটাতাজাকরণ কোন ঔষধ খাওয়ানো হয় না। দাম হিসাবে আমরা নেপালী আনুমানিক ১০মনের ওজন ষাড়টি ৩লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও সিন্ধু জাতের ৮ মন ওজনের ষাড়টি ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা চাচ্ছি। কেউ কেউ দাম করেছেন।
কোরবানীর পশু ক্রয়ে খাজরা ইউনিয়নের পালিত গরু গুলো কিনতে এখনও তেমন আগ্রহ সৃষ্টি হয় নি। কারন হিসেবে অনেকেই বলছেন,যেহেুত এবার এলাকায় গরু ছাগলের মহামারী দেখা দিয়েছে সেই কারনে আগে ভাগে গরু কিনে ঝুকি নিতে চাচ্ছেন না অনেকেই। এবছর প্রান্তিক এ খামারী গুলো তাদের পশুর দাম ভাল পেলে আগামীতে এলাকায় আরও অনেকে গরু পালনে আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলে স্থানীয়দের ধারনা।