Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় শিশুসহ বাবা-মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার গণপতিপুর গ্রামে রাস্তায় শিশুর পায়খানা করাকে কেন্দ্র করে ওই শিশুসহ তার বাবা ও মাকে ইয়ারগানের বাট দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় সাত দিনেও মামলা হয়নি। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই শিশুর মা তার ডান চোখ হারানোর আশঙ্কা করছেন। ফলে নির্যাতিতের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের তিন নং ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ২নং শয্যায় চিকিৎসাধীন কলারোয়া উপজেলার গণপতিপুর গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ বাবলুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ মাছুরা খাতুন জানান, বাড়ির পাশে ঘরোয়া রাস্তায় তার দুই বছর চার মাসের ছেলে হুসাইন পায়খানা করেছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ১৮ জুন বিকেলে তার সঙ্গে একই এলাকার রবিউল দফাদার ও তার ছেলেদের বচসা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ওই দিন রাত ১১টার পর তার স্বামী ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফেরার পর বসতঘর সংলগ্ন কামরায় রান্না করার সময় রবিউল দফাদার , তার ছেলে হাবিবুর, রনি, টনি ও জনি হাতে পাখিমারা বন্দুক, দা ও লোহার রড নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। টনি তার হাতে থাকা ইয়ারগানের বাট দিয়ে তার মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারিলে ডান চোখ মারাত্মক জখম হয়। রবিউল দফাদার তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এ সময় তার ছেলে হুসাইনকেও অঅছাড় মেরে ফেলে দেওয়া হয়। রনি লেঅহার রড দিয়ে তার স্বামী বাবলুর রহমানের ডান উরুর পিছনের দিকে কয়েকটি আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। পরে রবিউল ও তার চার ছেলে তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারপিট করে সারা শরীরে রক্তাক্ত জখম করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুঁটে এলে থানায় ও হাসপাতালে গেলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। চলে যাওয়ার আগে হামলাকারিরা একটি মোবাইল ফোন ও কিছু ব্যবহৃত জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাকে ও তার ছেলেকে ১৮ জুন দিবাগত রাত তিনটার দিকে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

বাবলুর রহমানের অভিযোগ, ১৯ জুন তিনি রবিউল ইসলামসহ তার চার ছেলের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম ওই দিন রবিউল ও তার ছেলেদের থানায় ধরে আনেন। কিন্তু পরদিন সকালে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য বলেন উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম। এরপর থেকে হামলাকারিদের হুমকিতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে। তাই স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে রবিবার বিকেল সোয়া তিনটায় দেখা করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version