Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়ায় ভয়াবাহ লোড শেডিং ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবন বিপর্যস্থ

জাকির হোসেন: কাঁঠফাটা রোদের তীব্র দাহনের মধ্যে বিদ্যুতের ভয়াবাহ লোড শেডিং আর দ্রব্য মূল্যের পাগলা ঘোড়ার চপোটাঘাতে কলারোয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছে। জানা গেছে, সকালে রোদ বের হওয়ার সংগে সংগে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। সকাল সাড়ে ৮ টার পরে রোদে জ্বালার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। বেলা ১০ টার পরে তাপের তীব্রতায় মানুষ মাঠঘাট ছেড়ে বাড়ি বা গাছপালার নীচে আশ্রায় নেয়। কিন্তু তাপের তীব্র দহনের মধ্যে যখন বিদ্যুতের প্রয়োজন তখন ঘণ্টা বা আধা ঘণ্টা পরে দেড়/দু ঘণ্টা লোড শেডিং চলতে থাকে। বেলা ১২ টার পরে বাতাসে আগুনের হুল্কা বইতে থাকে। এতে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

মানুষ বাড়িতে ফিরে বিদ্যুত না পেয়ে গোসল করে ঠাÐা হওয়ার চেষ্টা করে। সারা দিনের তাপে উত্তপ্ত আবাহওয়া রাতের শেষ প্রহরের আগে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না। কিন্তু সারা রাতে ২/৩ ঘণ্টার বেশী বিদ্যুত পাওয়া যায় না বলে ছটফট করে র্নিঘুম রাত কাটে মানুষের। বালিশ কাথা ঘামে ভিজে যায়। অসুস্থ্য, বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠে। মানুষ ঘরের বাইরে এসে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে দিনে ব্যবসা বাণিজ্য আংশিক ভাবে অচল হলেও সন্ধার পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। ছেলেমেয়েরা লেখা পড়া সহ ঘর গৃহস্থলীর কাজ অকেজো হয়ে পড়ছে । ব্যবসা বাণিজ্যে ধ্বস ও শ্রমজীবি মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় প্রচÐ অর্থ কষ্টে পড়েছে নি¤œবিত্ত ও মধ্যেবিত্ত শ্রেণী। ফলে এই দূর্যোগপূর্ণ আবাহওয়ায় অগ্নিমূল্যের মাছ, মাংস সহ পুষ্টিকর খাবার থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। দেয়াড়া গ্রামের ভ্যান চালক আরিজুল, বোয়ালিয়ার দীন মুজুর সোরাপ জানায়, প্রচÐ তাপদাহের মধ্যে অর্থের অভাবে এবং মাছ, মাংস, ডিম সহ পুষ্টিকর খাবারের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারণে তা খাওয়ার সামর্থ হারায়ে ফেলেছে। এতে ক্রমান্বয়ে শরীর কাহিল হয়ে স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। অনেকে সর্দি, জ্বর, ডাইরিয়া, মাথা ব্যাথা সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ফলে কলারোয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্থ হয়ে পড়ছে। কলারোয়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী নাজমুল জানান, কলারোয়া বাজারের প্রায় অর্ধেক ফল ব্যবসায়ী লোকসান গুণে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ৫০ টাকা বিক্রি করেছি। এই অবস্থা চলতে থাকলে ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version