Site icon suprovatsatkhira.com

আটুলিয়ায় কার্পেটিং রাস্তার কাজ শেষের দিকে: স্বস্তিতে এলাকাবাসী

আটুলিয়া (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে গাইনের সীলে হতে সোয়ালিয়া ব্রিজ পর্যন্ত (কেবিএস রিডিপ) প্রকল্প ২১০০ মিটার কার্পেটিং রাস্তার কাজ প্রাই শেষের দিকে। যার প্রকল্প ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। রাস্তার কাজ গত কয়েক বছর স্থগিত থাকায় এলাকার জনসাধারণের চলা চলে অনেকটাই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন শুধু সুফলের অপেক্ষায়। যার প্রেক্ষাপটে গত ২৩ জুন রাস্তার পিচ ঢালাইয়ের কাজের উদ্বোধন হয়। তবে পিচ ঢালাই মানসম্মত ও দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ার অভিযোগ তোলেন এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি। এরপর নতুন পিচের রাস্তাটি পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম. আতাউল হক দোলন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২৪ জুন শনিবার সকাল থেকে রাস্থার কাজের মান অনেকটাই ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাস্থার দু’পাশের গ্রামবাসী। এলাকার জনসাধারণ গণমাধ্যমকে জানান অনেকদিনের চাওয়া পাওয়ার অনেকটাই দ্বার প্রান্তে আমরা, নতুন একটি সূচনার স্বাক্ষী হতে চলেছে এই গ্রামের মানুষ। আমরা এরকম পিচ ঢালাই রাস্তাই চাচ্ছিলাম। এমন সৌন্দর্য রাস্থার কাজ যেন চলমান থাকে এবং ভালো ভাবে শেষ হয় এটাই প্রত্যাশা সবার। এলাকাবাসী আরো জানান রাস্থার দু’পাশে যে সমস্ত জায়গায় উঁচুনিচু বা ডিপ আছে, অনেক জাইগাই মাটিও নেই সে সমস্ত রাস্তা গুলো যদি ঠিকাদারের সহযোগিতায় মাটি দিয়ে উঁচু করা যেত তাহলে রাস্তা আরো মজবুত এবং টেকসই হতো। সরেজমিনে জেয়ে এলাকাবাসীর খুটি নাটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজের অগ্রগতি কতদুর জানতে চাইলে এলজিডি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের প্রতিনিধি মো. ফারুক হোসেন গনমাধ্যমকে বলেন, রাস্থা মূলত দুই কিলোমিটা, কাজ প্রাই শেষের দিকে। এখানে ২৫ মি.লি কাজ ধরা আছে সিডিউলে, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, রাস্থার কাজ চলমান আছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে ঈদের পরপরিই পিচের রাস্থা দিয়ে চলাচল করতে পারবে এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ। ঐ গ্রামের বাসিন্দা হযরত মোড়ল বলেন “জন্মের পর থেকেই আমাদের এলাকার রাস্থা দিয়ে স্থানীয় বাজার সহ দুরপাল্লায় জেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হত। আর বর্ষার মৌসুম এলে তো কথাই নেই, যোগাযোগ ব্যাবস্থা ভালো না থাকায় হাটু সমান কাদা ঠিলে অসুস্থতায় ভোগা রুগী সহ গর্ভবতী মহিলাদের শ্যামনগর সদরে নিয়ে জেতে অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিলো। পিচের রাস্থা হওয়ায় সব দিক থেকে চলাচলে অনেক সুবিধা হলো। ৮নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ডা: মোঃ আব্দুর রব খসরু গণমাধ্যম কর্মীকে জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রাস্থার কাজ একটু দেরি হলেও এখন কাজ প্রাই শেষের দিকে, আমি সার্বক্ষনিক খোজ নিচ্ছি। কাজ সম্পুর্ণ হলেই এই এলাকার মানুষ দিন রাত পিচের রাস্থাদিয়ে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারবে। ঠিকাদার সাইফ আলী খানের সাথে সাক্ষাতে রাস্থার টেকসই এবং গুনগত মান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে খানা খন্দে ভরা রাস্তাটিতে প্রথমে বালি ভরাট আর ইট দিয়ে কাপ্রেটিং করতে অনেকটাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিলো। তারউপরে রাস্তার এক পাশে খাল থাকায় আবার প্রাকৃতিক দূযোগ সহ রাস্থার পাশে খালের লোনা পানি ওঠার কারনে অনেকটাই সময়ক্ষেপন হয়েছে। তবে ক দিন পরেই গ্রামের ভিতর এই পিচের রাস্থার সুফল ভোগ করবে অত্র এলাকার মানুষ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version