Site icon suprovatsatkhira.com

ফলোআপ কালিগঞ্জে শিক্ষার্থীকে বলাৎকার

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার সামছুল উলুম মাদ্রাসা এÐ প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় ভিকিটমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিচারিক হাকিম -২য় আদালতের বিচারক মাসুমা আক্তার তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, একইসাথে হেফজো ও সাধারণ শিক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে দেবহাটা দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান তার ছেলেকে কোড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে নিয়ে পাঁচ মাস আগে পূর্ব নলতা সামছুল উলুম মাদ্রাসা ও প্রিক্যাডেট স্কুলে ভর্তি করান।
মামলার বিবরনে জানা যায়, বুধবার দুপুর দুপুর একটার দিকে দোতলার একটি কক্ষে ডেকে হুজুর (শিক্ষক) মেহেদী হাসান সামছুল উলুম মাদ্রাসা ও প্রিক্যাডেট স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে (১৩) বলাৎকার করে। ১০/১২ দিন আগে পরপর দুই দিন তাকে বলাৎকার করা হয়। পরিচালক পূর্ব নলতা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক মৌতলা গ্রামের মনিরুল ইসলাম কৌশলে হুজুর মেহেদী হাসানকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। দেবহাটা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও ভ্যানচালক (ভিকটিমের বাবা) খবর দিলে বুধবার রাত ১১টার দিকে উপপরিদর্শক হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে না পাওয়ায় তার ঠিকানা সম্পর্কে কোন তথ্য দিতে না পারা ও তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার অভিযোগে পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক মনিরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরদিন তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহষ্পতিবার দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে সামছুল উলুম মাদ্রাসা ও প্রিক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক মেহেদী হাসানের(৩৭) নাম উল্লেখ করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় থানায় জিআর-১৬১ নং মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ মোর্শেদ জানান, শুক্রবার সাতক্ষীরা সদর হাপসাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে বিকেলে বিচারিক হাকিম মাসুমা আক্তারের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি সম্পন্ন হয়েছে। ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। পলাতক আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version