নিজস্ব প্রতিনিধি : নারী কেলেংকারীর দায়ে আটক ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হাত থেকে জীবনের নিরাপত্তার দাবীতে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনুলিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন আমার নিজের ও ছেলে কাজল হোসেন এর দুটি দোকান আছে হাজী মার্কেট বাজারে। সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করে আসছি। আমাদের আনুলিয়া ০৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন সানা ওরফে কেটু মোক্তার দীর্ঘদিন যাবৎ নারী কেলেংকারী সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। ইতিপূর্বে তিনি দুটি নারী কেলেংকারী ও একটি হত্যা মামলার আসামী হিসাবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ৩টি মামলাই বিচারাধীন আছে এবং দ্রæত বিচার আইনের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজী মামলায় জেল খেটেছেন। মামলাটিও বিচারাধীন আছে। গত ইংরেজী ৩০শে মে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মির্জাপুর গ্রামে শাহবুদ্দীন সানা বাইরে কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগে মেম্বার তার ঘরে ঢুকে স্ত্রী সুমাইয়া খাতুনের সাথে ধর্ষণের চেষ্টা কালে মহিলার চিৎকারে পাশের লোকজন তাকে (কেটু মোক্তার) ঘরের মধ্যে থাকা অবস্থায় আটক করে।
এসময় গ্রামের লোকজন উপস্থিত হয়ে পুলিশকে খবর দিলে এস আই মহিদ সাহেব ঘটটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে থানায় নিয়ে যান। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মোক্তার হোসেন সানা ওরফে কেটু মোক্তার জেল হাজতে আছে। এঘটনার পর থেকে কেটু মোক্তারের চাচা আলহাজ্ব আঃ হাকিম সানার নেতৃত্বে তাদের দলীয় লোকজন আমাকে সহ পরিবারের লোকজনকে শায়েস্তা করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। তারা আমাদেরকে বাড়ী থেকে বের হতে দিচ্ছেনা। জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। বাড়ীর লোকজন বের হলে হাত, পা ভেঙ্গে জীবনে শেষ করে দেওয়ার হুমকি ও আস্ফালন করছে। আমরা জীবনের ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে নিয়েছি। আমার পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না এমনকি আমার ছেলে সজল হোসেন আজ (বুধবার) পরীক্ষা থাকলেও তাদের ভয়ে যেতে পারিনি। আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতয় চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি।
মোক্তার মেম্বার আইনে সোপর্দ হওয়ায় তাকে রক্ষার জন্য আলহাজ্ব আঃ হাকিম সানার নেতৃত্বে একটি মহল সর্বদা এলাকায় টহল দিচ্ছে। আমরা যাতে তাদের রোষানল থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে পারি সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।