Site icon suprovatsatkhira.com

সন্ত্রাসী হামলায় আহত ২: থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি ক্লাবকেন্দ্রিক পূর্ব বিরোধের জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে দুইজনকে যখম করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২২শে মে রাত সাড়ে দশটার সময় সাতক্ষীরা সদর থানার মোচড়া গ্রামের সাধুর তালতলা আয়নালের বাড়ির উত্তর পাশে রাস্তার ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এজাহার সূত্রে ও সবুজের স্ত্রী জলি খাতুন জানান, ‘দক্ষিণ শিবনগর ধেরেখালী ব্রিজের কাছে একটি ক্লাব আছে। সেই ক্লাব কেন্দ্রিক বিরোধের জেরে আমার স্বামী প্রিন্স মাহমুদ সবুজকে আখড়াখোলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোচড়া গ্রামের সাধুর তালতলা আয়নালের বাড়ির উত্তর পাশে রাস্তার ওপর শিবনগরের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নজরুল ইসলাম ও লিটনের নেতৃত্বে রুবেল, আলমগীর হোসেন আলো, বাসার, সোহাগ হোসেন, কুদ্দুস, সবুজ, সাগর, মোছারুল, খলিলসহ ১৫ থেকে ২০ জন আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এ সময় নজরুলের নির্দেশে লিটন আমার স্বামীর মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দেয়, যেখানে ডাক্তার ১৩টি সেলাই দিয়েছেন।

বাকিরা লোহার রড ও জি আই পাইপ দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে আমার স্বামীকে জখম করে। তিনি আরো জানান, তার স্বামীর সাথে থাকা বন্ধু আকতারুজ্জামান বাবু আমার স্বামীকে বাঁচাতে গেলে নজরুল বাবুর হাতে কোপ মারে। এ সময় সব সন্ত্রাসীরা মিলে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে পেটাতে থাকে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স যোগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আমার স্বামী সবুজের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমার স্বামী বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রিন্স মাহমুদ সবুজের উপর হামলাকারীরা বিএনপির নাশকতাকারী।

এর আগে হাতকাটা ধর্ষণসহ একাধিক মামলা তাদের নামে আছে। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে আসামিদের মধ্যে রুবেলের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে সামাদের স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ আছে। এছাড়াও সোহাগ ও আলোর নামে হাড়কাটার মোড়ে ছিনতাইয়ের মামলা আছে। মামলার প্রধান আসামী নজরুলের বিরুদ্ধে রাজনগর বাজারে নৌকা প্রতীক পোড়ানোর অভিযোগও আছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর পবন কুমার বিশ্বাস জানান, ‘আসামীরা চতুর ও দুর্র্ধষ, তারা গা ঢাকা দিয়েছে। ওদের নামে হাতকাটা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অনেক মামলা আছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version