Site icon suprovatsatkhira.com

কৃষি শ্রমিকের অভাবে ২০ শতাংশ জমির ধান মাঠে

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী দুই এক দিনের মধ্যে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ঘুর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানতে পারে এমন খবরে ইরি বোরো ধান চাষীরা ব্যস্থ সময় পার করছেন। কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে তারা মাঠের ধান বাড়িতে তুলে আসার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে রাত দিন কাজ করছেন।
আলাপকালে কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান, কষ্টে ফলানো স্বপ্নের ফসল ধান বাড়ির উঠানে তোলার জন্য তার মতো সব ধানচাষীর রাত দিন এক হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় আসলে ধান ঘরে তোলা যাবে না বলেই তারা দিশেহারা। ঝড় বৃষ্টি আসার খবরে শ্রমিক সংকট থাকায় বাড়ির নারীদেরও ধান তোলার কাজে তারা সম্পৃক্ত করেছেন। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ঝড় বৃষ্টি হলে নিন্মঞ্চলের কৃষি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। জমে থাকা পানি বের করতেও কৃষকের অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়। ফলে দুর্যোগ আসার আগেই ইরি বোরো ধান কর্তন করে ঘরে তুলতে হবে।
তিনি আরও জানান, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৭৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোর ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৫২৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষকৃত ৮২ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় মোখা’র আঘাতে কৃষকের ধানের যাতে ক্ষতি না হয় সে জন্য দ্রæত ধান কেটে বড়ি তোলার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের কর্মরত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ধান চাষীদের কাছে সতর্ক বার্তা পৌছে দেয়া হয়েছে। কৃষকরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে চললে ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

এ বিষয়ে খোজখবর নিয়ে জানাগেছে জেলার তালা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, আশাশুনি, দেবহাটা ও কালিগজ্ঞ উপজেলায় ২০ শাতাংশ জমিতে চাষ কৃত হাই ব্রিড ও নাবী জাতের ধান কাটা হয়নি। এর মধ্যে কৃষি শ্রমিকের অভাবে কিছু কিছু জমিতে ধান কেটে রাখা হয়েছে। কেউ কেউ ধান কেটে স্তুপ করে রেখেছে।
অনেকে আবার শ্রমিকে অভাবে জমির ধান কাটতে পারেনি। গত বছরের তুুলনাায় এবছ ধানের বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিকের মূুজুরী দ্বিগুন দিতে হচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version