নিজস্ব প্রতিনিধি: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার মতবিমিনময় সভা বৃহষ্পতিবার বিকেল ৫টায় সাতক্ষীরা শহরের ম্যানগ্রোভ সভাঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক সাবেক অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ডাঃ সুশান্ত কুমার ঘোষ, দিবা নৈশ কলেজের উপাধ্যক্ষ মঈনুল হাসান, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, ডাঃ সুব্রত কুমার ঘোষ, কবি রায়হান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ফতেপুর -চাকদাহ সহিংসতার মামলাগুলো সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ ছাড়া ২০১৩-১৪ সালের নাশকতার মামলাগুলো যাতে দ্রæত নিষ্পত্তি করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায় সে সম্পর্কে তিনি খোঁজ নেবে। একইসাথে বধ্যভ‚মি চিহ্নিত করে তা সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা রায়হান হত্যা ও ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যাসহ ২০১৩-২০১৪ সালে সংঘটিত সকল নাশকতার ঘটনার তদন্ত, এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২০১২ সালের ২৯ মার্চ দৃষ্টিপাত পত্রিকায় প্রকাশিত মহানবী সম্পর্কে গুজবকে কেন্দ্র করে ৩১ মার্চ ও পহেলা এপ্রিল ফতেপুর ও চাকদাহে ১২টি হিন্দু পরিবারের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ফতেপুর হ্ইাস্কুল, ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর সাংস্কৃতিক পরিষদ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ঘটনায় দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামসহ ছয়জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ১২০(ক) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করার পর ও আসামীরা নি¤œ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে।
এটা দূঃখজনক। তাছাড়া তিনটি বিচারাধীন মামলার বর্তমান অবস্থা কি সে সম্পর্কে জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ অবগত নন এটা দূঃখজনক। যারা যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী তাদের সাথে সখ্যতা রেখে চলছেন অনেকে। আবার তারাই মঞ্চে এসে তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের হতা করেছিল তারাই এখন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইসমালমকে রাষ্ট্রধর্ম রেখে ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে না গেলে এদেশে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখা যাবে না।