Site icon suprovatsatkhira.com

অপহরণের ১৫ দিন পর ৯ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার, অপহরণকারি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিনিধি: অপহরণের ১৫দিন পর সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের অপহৃত নবম শ্রেণীর ছাত্রী উদ্ধার ও অপহরণকারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। র‌্যাব এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মহিতুর রহমান মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার ও উদ্ধার করেন।
তবে অপহরণের তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি তালা উপজেলার আটারুই গ্রামের ১০ম শ্রেণীর হিন্দু ছাত্রী।

আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক ব্যবসায়ি জানান, গত ২ মে মঙ্গলবার বিকেল ৬টার দিকে আফতাবউদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তার মেয়েকে (১৫) বাড়ির সামনে থেকে একই গ্রামের খোকন সরদারের ছেলে বখাটে নাঈম সরদার (২৪) তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে মটর সাইকেলে জোরপূর্বক অপহরণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাদেরকে ধরার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ৪ মে আশাশুনি থানায় নাঈম, তার বাবা খোকন সরদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ২০০০ সালের সংশোধিত ২০০৩ এর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মহিতুর রহমান বুধবার বিকেল ৬টা ৪০ মিনিটে এ প্রতিবেদককে জানান, মামলার পরদিন ধ্রব মাঝিকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব এর সহায়তায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৃষ্ণাকে উদ্ধার ও নাঈমসহ চারজন আসামীকে ধরার ব্যাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার গভীর রাতে নাঈমকে ঢাকার আশুলিয়া এলকায় তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় ভিকটিমকে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে এফিডেফিট করে ভিকটিমকে বিয়ে করেছে মর্মে জানায় নাঈম। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় তাদেরকে নিয়ে সাতক্ষীরায় আসার পর আশাশুনির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি। বৃহষ্পতিবার আসামীকে আদালতে পাঠানো হবে। ভিকটিমকে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।

অপরদিকে তালা উপজেলার আটারুই গ্রামের এক দিন মজুরের মেয়ে মেয়ে এজেএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী সুমিত্রা মজুমদারকে (১৬) একই গ্রামের আব্দুল করিম গাজীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম গত ১৮ ফেব্রæয়ারি সকাল ১০টার দিকে এজেএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাঁশতলা রাস্তার উপর থেকে মটর সাইকেলে অপহরণ করে। এ ঘটনায় তার বাবা রাকিবুল ইসলাম ও তার বাবা আব্দুল করিম গাজীর নাম উল্লেখ করে ২১ ফেব্রæয়ারি থানায় এজাহার দায়ের করেন। অপহরণের তিন মাসেও উদ্ধার হয়নি ভিকটিম, গ্রেপ্তার হয়নি আসামী রাকিবুল ও করিম গাজী। অথচ গত ৬ মে রাতে রাকিবুল ও তার বাবা করিম গাজী বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ ধরছে না বলে অভিযোগ অপহৃত ভিকটিমের মায়ের। মায়া রানী মজুমদারের অভিযোগ, উপপরিদর্শক অশোক কুমার পাল রফিকুল ও তার বাবার নামে মামলা হলে পরে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারে এমন কথা বলে গত ২৫ এপ্রিল তাকে ডেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করিয়ে নেন। তার মেয়েকে খুলনায় লুকিয়ে রেখে রাকিবুল ও করিমা গাজী বহাল তবিয়তে এলঅকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে পুলিশের কারণেই তার মেয়ে উদ্ধার হচ্ছে না। গ্রেপ্তার হচ্ছে না অপহরণকারি। যদিও তালা থানার উপপরিদর্শক অশোক কুমার পাল বলেন, মেয়ের বাবা ও মায়ের ইচ্ছায় সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। তিনি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version