নিজস্ব প্রতিবেদক : পতিত জায়গা পেলেই সেখানে বৃক্ষ রোপন করেন বৈদ্যনাথ বসু। ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে এখনো তিনি তার বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। ছোট পরিসরে হলেও তিনি কাজটিকে স্বাচ্ছন্দে করে যাচ্ছেন। বৈদ্যনাথ বসু সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির উপদেষ্টা ও অবসরপ্রপ্ত শিক্ষক। শুক্রবার (২৬ মে) বৈদ্যনাথ বসুর নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলা মন্দির প্রাঙ্গনে ফুলের চারা রোপনের উদ্বোধন করেন জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, সহ-সম্পাদক সঞ্জীব বিশ্বাস, সাহিত্য সম্পাদক অসীম কুমার দাস সোনা। জানা গেছে, জেলা মন্দির সমিতির উপদেষ্টা প্রাক্তন শিক্ষক বৈদ্যনাথ বসু একজন বৃক্ষ প্রেমিক মানুষ। তিনি পতিত জায়গা পেলেই কোন না কোন বৃক্ষরোপন করেন।
উল্লেখ থাকে যে, জেলা মন্দির সমিতির প্রাঙ্গণে যে মেহগনি গাছগুলো আছে সকল গাছ তার হাতেই রোপন করা। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মৌসুমী ফলের ও ফুলের গাছ নিয়মিতভাবে মন্দির প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রোপন করে যাচ্ছেন। লাগানো ছোট ছোট মেহগনি গাছ আজকে বড় ধরনের সম্পদ হিসেবে জেলা মন্দির সমিতির উন্নয়নে অবদান রাখছে। তাছাড়া সাতক্ষীরা ব্রহ্মরাজপুর মহাশ্মশানের ধারে যে সকল মেহগনি গাছ দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো তার হাতে রোপন করা। যেগুলো মহাশনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। এ বৃক্ষরোপণ কাজগুলো উপদেষ্টা বৈদ্যনাথ বসু তার নিজস্ব অর্থায়নে করে থাকেন করে থাকেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী এলাকাবাসী ও মন্দিরে পুজোর কাজে ব্যবহারের জন্য তুলসী গাছ রোপন করা হয়। এছাড়া তিনি শিক্ষক জীবনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজ অর্থায়নে ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করে বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। শুক্রবার জেলা মন্দির সমিতি প্রঙ্গণে ফুলের চারা রোপন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতি যুব কমিটির সভাপতি অমিত কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সুজন বিশ্বাস, সাহিত্য সম্পাদক পবিত্র সরকার, সদস্য সরূপ রায়, অনিমেষ সরকার, বিবেক, সৈকত প্রমুখ।