নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ও বড়দল ইউনিয়ন সীমান্তে অবস্থিত কালকীর ¯øুইজ গেটে কপোতাক্ষ নদের অংশে অতিরিক্ত পলি মাটি জমে গেটের মূল প্রবেশ পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে দুই ইউনিয়নের বিল গুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে কালকীর ¯øুইজ গেট সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়,¯øুইজ গেটটির কপোতাক্ষ নদের অংশে প্রাকৃতিক ভাবে অতিরিক্ত পলি মাটি জমে গেটের প্রবেশ মুখ ও নালাটি সম্পূর্ন ভরাট হয়ে গেছে। জোয়ার ভাটার পানি নিঃষ্কাশন ব্যবস্থা বর্তমানে বন্ধ অবস্থায় আছে। এর আগে ¯øুইজ গেটটি খালের অংশে ভরাট হয়ে গিয়েছিল। যা আর পূনঃ খনন করা হয় নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়,ফটিকখালী,খালিয়া,রাউতাড়া,পিরোজপুর,দূর্গাপুর,গজুয়াকাটি,চেউটিয়া ও বড়দল ইউনিয়নের কিছু অংশের হাজার হাজার বিঘা ধানের জমি ও মৎস্য ঘেরের পানি নিঃষ্কাশনের জন্য একমাত্র এই ¯øুইজ গেটটি ব্যবহার করা হয়। বিকল্প আর কোন ব্যবস্থা না থাকায় এবার চলতি বর্ষা মৌসুমে এই বিল গুলোর পানি কোন দিক দিয়ে নিঃষ্কাশন হবে তা নিয়ে কৃষকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। অতি বর্ষনের ফলে এই বিল ও বসবাসরত নিচু জমিতে পানি জমে থাকবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। যার ফলে এই এলাকার একমাত্র ফসল আমন ধান চাষে কৃষক ক্ষতি মুখে পড়বে।
এবিষয়ে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রামপদ সানা জানান,বর্তমানে কালকীর ¯øুইজ গেটের মুখের অংেশ পলি অপসারন না করলে এই অঞ্চলের মানুষের বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে। তিনি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম ফটিকখালী পরিমল দর্জির বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টটি পূনরায় চালু করে মৎস্য ঘেরের পানি সরবরাহের ক্যানেলটি ব্যবহার করা মতামত দেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসীর দাবি দ্রæত বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন করে পানি নিঃষ্কাশন ব্যবস্থা জোরদার করা হোক।