মোঃ রউফ, কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। খবর নিয়ে জানা গেছে কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাস্কুল মোড় হতে ৪নং কয়রা সরকারি পুকুর পাড় মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর থেকে রাস্তাটি খানা, খন্দে ভরে ছিলো। সেটি কয়েক মাস আগে সংস্কার করার জন্য রাস্তার কারপেটং উঠানো হয়। খোয়া বালু, রাভিস থাকায় সেটি বাতাসে উড়ছে। কিন্তু সংস্কার কাজ ধীর গতিতে হওয়া রাস্তার বালু, রাভিস উড়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, প্রাথমিক থেকে কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সরকারি বেসরকারি এনজিও বিমা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে এই সড়কে। তাদের দাবি আগামী বর্ষা মৌসুম আশার আগে রাস্তাটি সংস্কার করে দেওয়া হোক। যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে। এবিষয়ে এলজিইডির কয়রা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ দারুল হুদা বলেন, আড়াই কিলোমিটার রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সরকার নির্ধারিত বাজেট ধরা হয় ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮১ টাকা। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় রাকা এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটার তপন চক্রবর্তী। কাজটি ঠিক মতো না করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে এলজিইডির খুলনা জেলা কার্যালয়ে। এ বিষয়ে রাকা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার তপন চক্রবর্তীর সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিকে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বার বার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত হওয়া আমার ওয়ার্ডের রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না।