কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : সুন্দরবনে অতি গোপনীয় ভাবে হরিণ শিকার করছে শিকারীরা। তারা বিভিন্ন কলা কৌশলে হরিণ শিকার করে বন সংলগ্ন এলাকায় গোপনে বিক্রি হচ্ছে হরিণের মাংস। এ অবস্থায় সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধ এবং শিকারিদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগ। এর লক্ষে ইতিমধ্যে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার বন বিভাগের অভিযানের হরিণের রান্না করা মাংস ও শিকারের ফাঁদসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া হরিণের মাংস উদ্ধার সহ শিকারীদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি বন্যপ্রানী শিকারের অপরাধে মামলা দেওয়া হয়েছে শিকারীদের বিরুদ্ধে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত অন্তত্ব ৪০ জন। তাদের মধ্যে ১৫-২০ জন সম্প্রতি শিকারীরা বনে গিয়ে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের পর সেগুলো জবাই করে লোকালয়ে এসে বিক্রি করছে হরিণের মাংস এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে বন বিভাগ। এতে করে চুপসে গেছে হরিণ শিকারী চক্র। সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসএিফ) এজেডএম হাছানুর রহমান বলেন, চলতি অর্থ বছরে সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জে হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে ১৭ সিআর মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউডিআর মামলা দেওয়া হয়েছে ৬ টি। এ সকল মামলায় আসামী রয়েছে ৬৭ জন।
তাদেরকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে অনেকের। তিনি আরও বলেন, কয়রার জোড়শিং, আংটিহারা,গোলখালী এলাকায় বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে হরিণের মাংস আটক করার পাশাপাশি নৌকা জব্দ করা হয়েছে অনেক। এ সকল হরিণ শিকারী আটক পুর্বক তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন বলেন, সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় বন বিভাগের বনকর্মীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনের হরিণ শিকার প্রতিরোধে বন বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিকারীদের আটকপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এ ছাড়া বন সংলগ্ন এলাকায় হরিণ শিকার বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে উঠান বৈঠক, সচেতনতামুল সভা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার পাশপাশি স্মার্ট প্রেট্রোলিং ও ফুট প্রেট্রোলিং ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের হরিণ শিকারীদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রদান করে তাদেরকে ধরিয়ে দিতে পারলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে তথ্য প্রদানকারীকে পুরুস্কৃত করা হবে।