নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারী ভাবে সারের মূল্য বৃদ্ধি ঘোষণার সংগে সঙ্গে কলারোয়ার অসাধু সার ব্যবসায়ী সিÐিকেট বর্ধিত দামে সার বিক্রি করে অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের তৎপরতায় নেমেছে । জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল রাতে সরকার ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও পটাশ সার কেজি প্রতি ৫ টাকা মূল্য বৃদ্ধি ঘোষণা করে। আর সকালে সমস্ত বিসিআইসি, বিএডিসি, সাব ডিলার ও গ্রাম্য ব্যবসায়ীরা সারের বর্ধিত মূল্য দাবী শুরু করে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণের প্রেক্ষিতে আগে আনা সার বর্ধিত মূল্যে বিক্রি করা যাবে না। নতুন সার সরবরাহ হলে সেই সার বর্ধিত মূল্যে বিক্রি করা যাবে বলে সমস্ত ডিলারদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেন। তবে কৃষি বিভাগের এই নির্দেশানায় কর্ণপাত করছে না অধিকাংশ ডিলাররা। শাকদা গ্রামের খোরশেদ ও শাহজুল জানায়, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সারের বর্ধিত নতুন দাম দাবী করছে।
বোয়ালিয়ার সোহরাব জানায়, তাদের গ্রামে ইউরিয়া ২৯ এবং টিএসপি ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। সারের এই দাম বর্ধিত মূল্যের চেয়ে বেশী। এদিকে সার না দিয়ে তিনদিন হয়রানির পরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়ার হস্তক্ষেপে গত ১৩ এপ্রিল দক্ষিন সোনাবাড়িয়ার সাব ডিলার পলাশকে তার কোটার সার সরবরাহ দেওয়া হয়েছে। সুমন নামে এক ব্যক্তি জানায়, হিজলদী বাজারের তুহিন ট্রেডার্স সার নেই দাম বেড়ে গেছে বলে জানায়। কৃষি অফিস সুত্র জানায়, মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে বোরো ধানে সার প্রয়োগ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বেশীর ভাগ ধানে শীষ বের হচ্ছে। শুধুমাত্র সবজিতে সামন্য সার প্রয়োজন। এরপরেও ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলায় ৫০৮ মেট্রিক টন ইউরিয়া, টিএসপি ৯৭ মেট্রিক টন, ডিএপি ২৬৫ মেট্রিক টন ও ১১১ মেট্রিক টন পটাশ সহ মোট ৯৮১ মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ী সিÐিকেটের এই ৯৮১ টন সার বর্ধিত দামে বিক্রি করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোপাটের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তদারকির অভাবে চক্রটি তাদের মজুত সার খাতা কলমে বিক্রি দেখানোর অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এমনকি পূর্বের মূল্যের সার এক বস্তাও খুচরা ডিলারদের সরবরাহ না করেই নতুন দামের সার পেতে বিভিন্ন ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলারদেরকে তড়িঘড়ি করে নতুন ডিও করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। পরে এই সার নতুন ডিও করা সারের সাথে বর্ধিত দামে বিক্রি করা হবে বলে সুত্র জানায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন মিয়া বলেন, গুদামে মজুত সারের বর্ধিত মূল্য না নেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ^াস বলেন, এ বিষয়ে আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। যদি পূর্বের মূল্যের সার বর্তমান মূল্যে বিক্রয় করা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।