এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা প্রতিনিধি : মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ২টি ধর্মীয় উৎসব হল ঈদ-উল- ফিতর ও ঈদ-উল-আযহা। বাজারে এখন ঈদ-উল-ফিতর ঈদকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের উপস্থিতির আনাগোনায় জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। রোজার প্রথম দিকে বেচাকেনা কম থাকলেও ১৫ রোজার পর থেকে ক্রেতাদের পদচারণা বাড়তে শুরু করেছে। খুলনার পাইকগাছায় আগামী ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের বাজার। নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোর সহ সর্বস্তরের মানুষ নেমে পড়েছে তাদের পছন্দের কেনাকাটা করতে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে খুঁজছেন পছন্দের ঈদের পোশাক। পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মধ্যে পাইকগাছা পৌরসভার বাজার, কপিলমুনি বিনোদগঞ্জ বাজার, বাঁকা বাজার, কাটিপাড়া বাজার, গড়ুইখালী বাজার, চাঁদখালী বাজার, গদাইপুর বাজার, নতুন বাজারেও ক্রেতাদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে জমে উঠছে শুরু করেছে ঈদের বাজার।
বিশেষ করে শাড়ি-লুঙ্গি, সিট কাপড়, গার্মেন্টস, জুতা-স্যান্ডেল, টেইলার্সের দোকান, কসমেটিক্স, মুদি ব্যাসায়ীরা এ সময় ব্যস্ত সময় পার করছেন।পর পর দুই বছর করোনাকালীন সময় থাকায় ওইভাবে ঈদের আনন্দ থেকে বিরত থাকতে হয়েছিলো দক্ষিণঅঞ্চল’সহ বাংলাদেশের মানুষের করোনার ভয়াল থাবার পর এ বছর পরিস্থিতি ভালো থাকায় বেশ আগে ভাগেই সকলের মাঝে বিরাজ করছে ঈদ আমেজ। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কেনা কাটার ভিড়। বাজারে বর্তমানে নারী ও শিশুদের কেনাকাটাই বেশী।
এই ঈদে মহিলা ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা বেশি বলে ব্যবসায়ীরা জানান, মহিলাদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিস, বোরকা, লেহেঙ্গা, হিজাব, স্কাপসহ সব ধরনের কাপড়ই ক্রেতারা কিনছেন। কেনাকাটায় শাড়ী বেচাকেনা থেমে নেই। বিভিন্ন ধরণের শাড়ী কিনছেন ক্রেতারা। এবার বাজারে এসেছে অরগাঙ্গা, গর্জিলা, পুষ্পা, বসুন্ধরা, অক্টপাস নামের বেশ কিছু থ্রিপিস। কসমেটিকস পণ্য বিক্রেতারা জানান, বেচাকেনা কদিন আগে একদমই ছিল না। আগের থেকে বর্তমানে বেচাকেনা বেশ বেড়েছে। ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বিভিন্ন রেডিমেট কাপড় ও থ্রি পিসের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশী। তারা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে ঈদের বাজারে। অনেকেই দামের কারণে পছন্দের পোশাক কিনতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। এই শ্রেণীর ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যবিত্ত ও স্বল্পআয়ের মানুষেরাই বেশি।