Site icon suprovatsatkhira.com

খাজরায় সবজি চাষে ভাগ্য বদলের চেষ্টা

নুরুল ইসলাম (খাজরা) আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে ধান ও মাছ চাষের পাশাপাশি বারো মাসি ও মৌসুমী বিভিন্ন সবজি চাষ করে নিজের পরিবারের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শতাধিক প্রান্তিক কৃষক।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকালে ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দেয়াবর্ষিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,স্থানীয় স্বপন মন্ডল,অরুন মন্ডল,সুরঞ্জিত গাইন,সুধাংশু গাইন,রসিক গাইন নিজস্ব ও পতিত প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বিভিন্ন সবজি ও ফুলের চাষ করেছেন। সবজির মধ্যে ঢেড়স,বরবটি,পুঁইশাক,করলা,লাউ,পল্লা,মিষ্টি কুমড়া,তরমুজ,ডাটা শাক ও সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে এ সমস্ত কৃষকের ক্ষেতে সবজি উঠা শুরু হয়েছে এবং সেগুলো পাশ^বর্তী কাপসন্ডা মৎস্য সেডে সকালে সকালে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন হচ্ছে।

এলাকাবাসীর থেকে জানা যায়,তিন বছর আগেও এই বিলে এক ফসলী ধান ছাড়া আর কিছুই হত না। আষাঢ় মাস পর্যন্ত বিল গুলো গো-চারণ হিসেবে ব্যবহার হত। বর্তমানে সেখানে দুলছে সুর্যমুখী ফুল। সবুজ পাতার আড়ালে উকি মারছে করলা। এছাড়া ইউনিয়নের অন্য অন্য গ্রাম গুলোতেও পূর্বের তুলনায় বিল এবং বাগান বাড়ির ভিতরে সবজি চাষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

খাজরা ইউনিয়নে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে হলে কৃষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ,সরকারি সহায়তা,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত ক্ষেত প্রদর্শন ও পরামর্শ প্রদানের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা অভিমত প্রকাশ করেছেন।
প্রান্তিক চাষি স্বপন মন্ডল জানান,আমি এবার দেড় বিঘা জমিতে বিভিন্ন সবজির চাষ করেছি। আমার ৩০ হাজার টাকার মত খরচ হবে। যদি বাজারে সবজির দাম ভাল পাই তাহলে ১লক্ষ টাকার মত কেনা বেচা হবে। আমন ধান ওঠার পরপরই আমরা এই বাড়তি টাকা রোজগার করতে পারছি।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমন ও বোরো ধানের যে সরকারি কৃষি প্রনোদনা দেওয়া হয় আমাদের সবজি চাষীদেরও সরকারি কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হোক। তাহলেই খাজরা ইউনিয়নে কৃষি বিপ্লব ঘটানো সম্ভব হবে।
স্থানীয় কৃষকরা আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিস,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version