নিজস্ব প্রতিনিধি : রবিবার দিবাগত রাতে (২৩ এপ্রিল) মটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ছয় জন।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা দলুয়া সড়কের খলিশখালি হাজরাপাড়া নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ইমন (১৭) ও আরাফাত (১০) দুই সহোদর নিহত হয়। নিহতরা তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে।
নিহতদের স্বজন ও থানা পুলিশ জানায়, গতরবিবার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরার বাইপাস সড়কের কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল জলিলের মাছের ঘেরের দক্ষিণ পাশে দু’টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের আজিজুর রহমান সরদারের ছেলে আব্দুল বারি (৫৫) আব্দুল বারির ছেলে ছেলে রেজোয়ান (২৫) ও সাতক্ষীরা সদরের খানপুর গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে মাহমুদুর রহমান (৩৬) নিহত হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের আনিসুর রহমান জানান, তার আত্মীয় মটর সাইকেলে শহরে যাওয়ার সময় রবিবার রাত ৮টার দিকে বাইপাস সড়কের কামাননগরের সাবেক পৌর মেয়রেরর মাছের ঘেরের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মটর সাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বকচরা গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে আসা কলারোয়া উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের আব্দুল বারি ঘটনাস্থলে মারা যান। তার ছেলে রেজোয়ানকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম মাহমুদকে প্রথমে মেডিকেল কলেজ ও পরে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মরা যান। এসময় সদরের রইচপুরের আব্দুল হাকিম, কলারোয়া উপজেলার কাকডাঙা গ্রামের কপিলউদ্দিনের ছেলে সাবিবরুলসহ ছয়জন জখম হয়। তাদেরকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু ও কয়েকজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা দলুয়া সড়কের খলিশখালি হাজরাপাড়া খালিদ বিন অলিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার কাছে সদক দুর্ঘটনায় ইমন (১৭) ও আরাফাত (১০) নিহত হয়। নিহতরা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে।
নিহতদের বাবা আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার সময় আরাফাত তার ছোট ভাই ইমন ও সুজনকে পিছনে বসিয়ে মটর সাইকেল চালাচ্ছিল। মটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। তারা রাস্তায় আছড়ে পড়লে ইমন ও আরাফাতের মাথায় প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগেই মারা যায় আরাফাত। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চৌধুরী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঈদের ছুটিতে সাতক্ষীরায় পিতা পুত্রসহ নিহত-৫, আহত-৬
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/