নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ দীর্ঘ ২৬ বছর বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সাতক্ষীরার আব্দুল আজিজ সরদার(৫৩)। বুধবার সকাল ৯টায় প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে পলাতক ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামী সাতক্ষীরার সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সদর থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন।
উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন জানান, তার নেতৃত্বে উপপরিদর্শক আনিসুর রহমান ও সিপাহী লেলিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলার সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পলাতক আসামী আব্দুল আজিজকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কিশোরগঞ্জে পালিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গতঃ ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকালে সুলতানপুরে নিজ বাড়িতে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রী রেহানা পারভিনকে ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পরদিন রেহানার চাচা গোবরদাড়ি গ্রামের শওকত আলী সরদার বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আব্দুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুস সহ মোট ৫ জনকে আসামী করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামী আব্দুল আজিজ। ১৯৯৮ সালে তার বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম তার মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষনা করেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি এ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু জানান, ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমান শেষে আসামী আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়েছিলো। প্রায় ২৬ বছর সে পলাতক থাকার পর আজ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। রায় ঘোষণার বেশ কয়েকবছর আগে আরেক আসামী আব্দুল আজিজের ভাই রুহুল কুদ্দুস মারা যায়।