নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১১ ঘন্টা পর সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেলা তিনটার দিকে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হয়। এর আগে বুধবার সকাল থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে কাউন্টার রাখতে না দেওয়ার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন পরিবহন মালিকরা। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকায় যেতে না পেরে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন।
আশাশুনি থেকে আসা যাত্রী আয়েশা খাতুন জানান,তিনি সাতক্ষীরাতে এসে টিকিট কেটে ঢাকায় যেতে চেয়েছিলেন। ৮টায় সাতক্ষীরায় এসে জানতে পারেন,পরিবহন ঢাকাতে যাবেনা। তিনি বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে আসা যাত্রী আশরাফ হোসেন জানান,ঢাকাতে বৃহস্পতিবার তার একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। সকাল ৯টায় এসে শুনি,পরিবহন ঢাকাতে যাবেনা। এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি,লোকাল বাসে খুলনায় যাব। সেখান থেকে ঢাকায় যাব।
ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার মহসিন হোসেন জানান,দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সঙ্গীতা সিনেমা এলাকা থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার পরিবহন চলে। বিকল্প ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে গতপরশু পুলিশ এখান থেকে পরিবহন চালানো নিষিদ্ধ করে। উপায়ন্তর না দেখে বুধবার সকাল থেকে মালিকরা পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির জানান, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বিগত সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল পরিবহন ডিপো বাঁকালে সরিয়ে নেওয়ার। পরিবহন ডিপো সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্র সঙ্গীতা সিনেমা হল এলাকায় থাকায় সারাদিন-রাত ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হতো। এসব বিবেচনায় পরিবহন ডিপো সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সে সিদ্ধান্ত পরিবহন মালিকরা কার্যকর না করায় পুলিশ মঙ্গলবার সঙ্গীতা মোড় এলাকা থেকে পরিবহন না ছাড়তে আদেশ জারী করে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট চলছে,এমন তথ্য পেয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আমার কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাদের সাথে আলোচনা শেষে বিকেল থেকে পরিবহন চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়েছে।
পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে হানিফ পরিবহনের সাতক্ষীরাস্থ ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন,পরিবহন ডিপো সাতক্ষীরা শহরে রাখা যাবেনা,তবে ঈদের আগ পর্যন্ত কাউন্টারের সামনে পাঁচ মিনিট রেখে যাত্রী তোলা যাবে,জেলা প্রশাসনের এমন শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।